একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জয়ী হয়ে টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসবে আওয়ামী লীগ। গতকাল বুধবার এ আশা ব্যক্ত করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সফররত বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শেফারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে শেখ হাসিনা টানা তৃতীয়বারের মতো দেশ পরিচালনায় আসবেন। আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ব্যাপক উন্নয়ন করছি। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। দেশে-বিদেশে প্রশংসিত শেখ হাসিনা। তার গ্রহণযোগ্যতা অনেক। তিনি স্বপ্ন দেখেন, দেশের মানুষের কথা ভাবেন।’ তবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে নিশ্চিত হলেও আর রাজনীতিতে সক্রিয় থাকবেন না সর্বোচ্চ সংখ্যক বাজেট ঘোষণা করে রেকর্ড তৈরি করা অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যাতে ক্ষমতায় আসে তার জন্য কাজ করব। তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি না। সেটি আগেও বলেছি, আবারো বলছি।’
নিজের আসনের প্রার্থীদের নিয়ে মুহিত বলেন, ‘আমার আসনে কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে। একজন আমার ভাই ড. এ কে এম আবদুল মোমেন। সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন সিরাজও রয়েছেন।’ এর বাইরে সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন ও নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসেনের নামকে তিনি ‘ইউজলেস’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতার বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শেফার কোনো উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে মুহিত বলেন, ‘নির্বাচনের বিষয়ে কোনো কথা হয়নি। যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। এখানে কোনো প্রভাব পড়বে না। বিশ্বব্যাংকের সহায়তা যাতে বাড়ে সেটির আহ্বান জানিয়েছি। তারা এটি বাড়ানোর ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাবের কথা জানিয়েছে।’
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব কাজী শফিকুল আলম, বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের প্রধান চিমিয়াও ফানসহ সংশ্লিষ্টরা বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠক শেষে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট শেফার বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার। আমরা দীর্ঘদিন বাংলাদেশের উন্নয়নে পাশে রয়েছি। এই ধারা অব্যাহত থাকবে। আমি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসেছি। বাংলাদেশ বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। এটি বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর কেড়েছে। বাংলাদেশ মানবতার দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে।’