আইসিটি রফতানি ৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে কাজ চলছে

ছবি : সংগৃহীত

তথ্যপ্রযুক্তি

আইসিটি রফতানি ৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে কাজ চলছে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৭ জানুয়ারি, ২০১৯

তথ্যপ্রযুক্তি খাতের রফতানি ২০২৩ সালের মধ্যে ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করেছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত আইসিটি টাওয়ারে আয়োজিত সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ২০২৩ সালের মধ্যে আইসিটি রফতানি ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে। এর আগে নির্ধারিত ২০২১ সালের মধ্যে আইসিটি রফতানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিষয়ে সরকার আশাবাদী।

অনুষ্ঠানে দেশে বিনিয়োগকারীদের জন্য ফাস্ট ট্র্যাক সার্ভিস চালুর বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের অধীন বিসিসির লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এলআইসিটি) প্রকল্পের সঙ্গে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সমঝোতা স্মারক সই হয়।

আইসিটি বিভাগের সঙ্গে বিডার চুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ভালো ধারণা তৈরির লক্ষ্যে বিডার সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি খাত যুক্ত হচ্ছে। আমরা আজ যে উদ্যোগটি নিয়েছি এতে যেসব বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে আসবেন, তারা দেশে পা ফেলেই যাতে স্বাগত বাণী শুনতে পান, একটি শুভেচ্ছা শুনতে পান, তারা একটি ভালো পরিবেশে প্রবেশ করছেন এটি যেন অনুভব করতে পারেন।’

এ সময় মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমরা (আইসিটি বিভাগ) নিয়ন্ত্রণকারী না, আমরা সহায়তাকারী। আমরা প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে সহায়তা করব। আমরা প্রয়োজন হলে যা যা করে দেওয়া দরকার করে দেব। তবে যাদের জন্য করে দেওয়া হচ্ছে তাদেরকেই দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে। তাদেরকেই পরিচালনা করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, ফাস্ট ট্র্যাক সলিউশনে প্রযুক্তি ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। প্রায় প্রতিটি সমস্যার সমাধান প্রযুক্তি দিয়ে করা সম্ভব। এয়ারপোর্টে লাগেজ ট্র্যাকিং সিস্টেম ডেভেলপসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে হ্যাকথন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যেতে পারে। এতে বিডাকে সহযোগিতা করবে আইসিটি বিভাগ।

পলক বলেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য আমাদেরকে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য নির্ধারণ করে এখনই কাজ শুরু করতে হবে। স্বল্পমেয়াদি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অন্তত পাঁচটি অন্তরায় চিহ্নিত করে তা সমাধানের জন্য কাজ শুরু করা যেতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী বিডা ও এলআইসিটি প্রকল্প দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ঝামেলাবিহীন দ্রুত সেবা নিশ্চিত করার জন্য ফাস্ট ট্র্যাক সার্ভিস চালু করবে। সমঝোতা স্মারকে উল্লেখ করা হয়, বিডা আইসিটি খাতে বিদেশি বিনিয়োগকারী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের অন অ্যারাইভাল ভিসা, নিবন্ধন ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত ডকুমেন্টস সংগ্রহের ব্যাপারে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করবে।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা এবং তাদের মধ্য থেকে আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের দ্রুত সেবা নিশ্চিত করার ব্যাপারে বিডা এলআইসিটির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবে।

স্মারকে আরো বলা হয়, এলআইসিটি প্রকল্প বাংলাদেশকে বিদেশে ব্র্যান্ডিং করা এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইভেন্টে বিডার সুবিধাগুলো তুলে ধরে ব্র্যান্ডিং ও বিপণনের ডকুমেন্টস তৈরি করবে। এ ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সম্ভাবনাময় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনায় এবং নীতিমলার চ্যালেঞ্জ বিশ্লেষণ করে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করার ব্যাপারে বিডাকে পরামর্শ সহায়তা দেবে এলআইসিটি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads