আইপিটিভিতে আপত্তি তথ্য মন্ত্রণালয়ের

ছবি : সংগৃহীত

তথ্যপ্রযুক্তি

আইপিটিভিতে আপত্তি তথ্য মন্ত্রণালয়ের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৬ এপ্রিল, ২০১৯

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের ইন্টারনেট টিভি বা আইপিটিভি’র অনুমোদন দেওয়া নিয়ে আপত্তি তুলেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় গত সপ্তাহে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) এখতিয়ার নিয়েও প্রশ্ন করেছে।

জানা গেছে, কেব্ল্ টিভি অপারেটরগুলোর দাবির পরিপ্রক্ষিতে তথ্য মন্ত্রণালয় আইপি টিভির বিষয়ে আপত্তি জানায়। এ বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পরে টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। আইপিটিভির বিষয়টি হঠাৎ জোরেশোরে সামনে চলে আসায় গত শনিবার সরকারি ছুটির দিনেও এর সুরাহা করতে বিটিআরসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠক করেন।

বিটিআরসি তথ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টার উপস্থিতিতে ‘ডমেস্টিক নেটওয়ার্ক কর্ডিনেশন কমিটি’র এক বৈঠকে আইপি টিভির অনুমোদনের ক্ষমতা কমিশনকে দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই আবেদন আহবান করা হয়। আগ্রহীদের আবেদনের পর বিটিআরসি বেশ কয়েকটি আইএসপিকে অনুমোদন দেওয়া হয়। এগুলো এখন সেবা চালুর অপেক্ষায় আছে।

চলতি এপ্রিল মাসে কয়েকটি কোম্পানি আইপিটিভি ও ভিডিও অন ডিমান্ড সেবা চালু করার প্রক্রিয়া প্রায় শেষ করেছে বলে জানা গেছে। এতে দেশের বিনোদন খাতে একটা বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। এতে অনলাইনে টেলিভিশন দেখার দর্শক বাড়বে বলে তারা ধারণা করছেন। আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে দেশে অন্তত পাঁচ লাখ আইপিটিভির দর্শক হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে দেশে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আইপিটিভি চালু করে। পরীক্ষামূলকভাবেও অনেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্প্র্রচার করে। ২০১৬ সালের অক্টোবরে বিটিআরসি দেশে আইপিটিভি ও ভিডিও অন ডিমান্ড সেবা দুটি বন্ধ করে দেয়। দুই বছরের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর গত বছর ডিসেম্বরে সেবা দুটি আবার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সেই ধারাবাহিকতায় প্রায় ডজনখানেক কোম্পানি আইপিটিভি চালুর অনুমোদন নিয়ে সেবা চালু করতে যাচ্ছে।

আইপিটিভি কী?

আইপিটিভি হচ্ছে ইন্টারনেটভিত্তিক ভিডিও সম্প্র্রচার মাধ্যম। প্রচলিত টিভির বিকল্প হলেও কারিগরি দিক এই টিভি অনেক সহজলভ্য। এর পুরো নাম-ইন্টারনেট প্রটোকল টেলিভিশন, ওয়েব টিভি নামেও এটি পরিচিত। ইন্টারনেটে যুক্ত যে কেউ এই টিভি দেখতে পাবে।

ইন্টারনেটে সহজেই মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট বা অডিও-ভিডিও আদান-প্রদান করা যায়। এ সুবিধাটিই কাজে লাগানো হয়েছে আইপিটিভিতে। প্রচলিত টিভির মতো লাইসেন্স নিয়েও নেই ঝামেলা।

আইপিটিভি খুলতে স্যাটেলাইট সিগন্যাল, টেরেস্ট্রিয়াল, কেব্ল্, টেলিভিশনের দরকার হয় না। কেবল ইন্টারনেট সংযোগ, ইন্টারনেট উপযোগী ডিভাইস ও সফটওয়্যার হলেই হয়। এ টিভিতে রিয়াল-টাইম ট্রান্সপোর্ট প্রটোকল (আরটিপি) ও রিয়াল-টাইম কন্ট্রোল প্রটোকল (আরটিসিপি) প্রযুক্তি ব্যবহার হয়। সম্প্র্রতি বিভিন্ন দেশে আন্দোলন-বিক্ষোভ বা বিভিন্ন প্রতযোগিতার সরাসরি সম্প্রচারে আইপিটিভি ব্যবহার হচ্ছে।

স্মার্টফোনে ইন্টারনেটযুক্ত যে কেউ এ ধরনের টিভি দেখতে পারবে। স্মার্টফোনে টিভি দেখার অ্যাপ বিনা খরচেই পাওয়া যায় অ্যাপ স্টোরগুলোতে। ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ায় অনেক দেশেই আইপিটিভি জনপ্রিয় হচ্ছে। ১৯৯৫ সালে প্রথম আইপিটিভির ব্যবহার শুরু হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads