আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে।
আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের এক তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৯৮ সালে জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে বিএনপি চার দলীয় জোট গঠন করে। যে জামায়াতে ইসলামী ১৯৭১ সালে রাজনৈতিকভাবে দৃঢ় ও প্রকাশ্য অবস্থান নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা করেছিল, তাদের বাড়ি এবং গাড়িতে চার দলীয় জোট জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সব সময়ই আইনের শাসনে বিশ্বাসী। এই সরকারই বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা হত্যা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলার রায়ে আদালত জামায়াতে ইসলামী দল হিসেবে যুদ্ধাপরাধে জড়িত ছিল মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে। পরবর্তীতে গত বছরের ২৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
আনিসুল হক বলেন, দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচার প্রক্রিয়ার জন্য ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী তৈরি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নিয়ে পুনরায় এই সংশোধনী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে, যাতে এটি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা যায়। আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে।