বিদেশি ফোন কল আনা-নেওয়ার ব্যবসা আন্তর্জাতিক গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ) লাইসেন্স পেতে আবেদন করেছে ১৪ কোম্পানি। গত ১৯ সেপ্টেম্বর নিজেদের ওয়েবসাইটে ঘোষণা দিয়ে আইজিডব্লিউ লাইসেন্স দিতে আগ্রহীদের কাছ থেকে আবেদন চেয়েছিল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)। একই সঙ্গে ১০ অক্টোবর বুধবার পর্যন্ত আবেদন করার শেষ সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল।
জানা যায়, বুধবার পর্যন্ত বিটিআরসিতে লাইসেন্সের জন্য ১৪টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করলেও মোট কয়টি লাইসেন্স দেওয়া হবে সে বিষয়ে কিছুই নিশ্চিত করেনি বিটিআরসি। আবেদনকারী কোম্পানিগুলো হলো সোলজার্স গিয়ারস, রেড বিচ রিসোর্স লিমিটেড, এভিস টেকনোলজিস লিমিটেড, রুটস টেক কমিউনিকেশন, ইনফিনিটি টেলিকম লিমিটেড, জয়েন আস নেটওয়ার্ক, আই বিজনেস হোল্ডিংস লিমিটেড, পদ্মা কমিউনিকেশন লিমিটেড, আমান টেল, রা ইনফোটেক, লেভেল থ্রি টেলিকম লিমিটেড, ওয়েল ইনফরমেশন টেক, টুজি টেলিকম এবং রানা ট্রেডিং লিমিটেড।এর আগে ২০১২ সালে ২৬টি নতুন প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেয় বিটিআরসি। নতুন-পুরাতন মিলিয়ে তখন মোট আইজিডব্লিউ লাইসেন্সের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৯টিতে। ১৫ কোটি টাকা দিয়ে তখন লাইসেন্স নিয়েছিল প্রতিষ্ঠানগুলো। ২৯টি আইজিডব্লিউ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বর্তমানে ২৩টি কোম্পানি ব্যবসা পরিচালনা করছে। নতুন আইজিডব্লিউ লাইসেন্স নেওয়ার পর ব্যবসা পরিচালনা করতে না পেরে নবায়ন ও অন্যান্য ফি দিতে না পারায় ইতোমধ্যে ৬টির লাইসেন্স স্থগিত করে বিটিআরসি।
সব অপারেটর মিলে দিনে ১১ কোটি মিনিটের বেশি কল দেশে আনত। তাদের স্বেচ্ছাচারী আচরণের কারণে কল কমতে কমতে এখন সেটি দিনে চার কোটি মিনিটে নেমে এসেছে। যার কারণ হিসেবে জানা যায়, সরকারের ঠিক করে দেওয়া প্রতি মিনিটের জন্য দেড় সেন্ট রেট মানতে নারাজ ছিল অপারেটররা। পরবর্তী সময়ে প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরাই জোটবদ্ধ হয়ে দুই সেন্টের নিচে কোনো কল দেশে ঢুকতে দেয়নি। যার ফলে দ্রুত বেড়েছে অবৈধ কলের পরিমাণ।