অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসেই ভিডিও সম্পাদনা

ছবি : ইন্টারনেট

তথ্যপ্রযুক্তি

অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসেই ভিডিও সম্পাদনা

  • সৈয়দ মো. মাসরুর রহমান
  • প্রকাশিত ১৮ নভেম্বর, ২০১৮

শখের বসে অনেকেই তাদের স্মার্টফোনে টুকটাক ভিডিও ধারণ করে থাকেন। তবে ধারণকৃত এসব ভিডিও কিছুটা সম্পাদনা করা হলে সেগুলোকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলা যায়।

ভিডিও সম্পাদনার জন্য অ্যান্ড্রয়েডের জন্য রয়েছে অসংখ্য অ্যাপ। এর মধ্যে জনপ্রিয় কিছু অ্যাপের খবর থাকছে আজ-

ফিল্মোরা গো (Filmorago)

অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের জন্য যেসব ভিডিও এডিটিং অ্যাপ রয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এটি। অ্যাপটির সাধারণ ফিচারগুলোর মধ্যে আছে ট্রিমিং, কাটিং, থিম যুক্ত করা, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক যুক্ত করা প্রভৃতি। এ ছাড়া ভিডিওর অরিয়েন্টেশন পরিবর্তন করা, রেশিও পরিবর্তন করাসহ অনেক কিছুই করা যাবে এতে। ভিডিও উল্টো করে প্লে করা কিংবা স্লো মোশনে রূপান্তর, এ কাজগুলোও কিন্তু করা যাবে ফিল্মোরা গো ব্যবহার করে।

এসব সাধারণ ফিচারগুলো অ্যাপটিতে বিনামূল্যেই ব্যবহার করা যাবে। তবে কিছু বাড়তি প্রিমিয়াম ফিচার আছে যেগুলো ব্যবহার করতে চাইলে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হবে।

সম্পাদনা শেষে সংরক্ষণের পাশাপাশি অ্যাপ থেকে শেয়ার করা যাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অ্যাপটির ফ্রি সংস্করণ ব্যবহার করলে সম্পাদিত ভিডিওর শেষে একটি ওয়াটারমার্ক দেখা যাবে।

অ্যাডবি প্রিমিয়ার ক্লিপ (Adobe Premiere Clip)

নাম দেখেই বুঝতে পারছেন এটি ফটোশপসহ বিভিন্ন জনপ্রিয় সফটওয়্যারের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাডবির তৈরি। এ অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে দ্রুত ভিডিও সপাদনার সুবিধা দেবে। এর ব্যবহারও বেশ সহজ। অ্যাপটিতে আরো একটি দারুণ সুবিধা রয়েছে। আর তা হলো নির্দিষ্ট করে দেওয়া কিছু ছবির সমন্বয়ে একটি ভিডিও তৈরি করা যাবে ক্লিপ ব্যবহার করে। এ ছাড়া ভিডিও সম্পাদনার অন্যান্য সকল সুবিধা তো থাকছেই। অ্যাপটি ব্যবহার করা যাবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। কোনো বিজ্ঞাপনের ঝামেলাও নেই এতে।

ভিডিও শো (Video Show)

গুগল প্লে স্টোরে থাকা শীর্ষস্থানীয় ভিডিও এডিটিং অ্যাপগুলোর একটি হলো ভিডিও শো। এতে আছে ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস যার মাধ্যমে যে কেউ আগের অভিজ্ঞতা ছাড়াই সহজে ভিডিও সম্পাদনা করতে পারবে। অন্যান্য ফিচারের বাইরে কিছু বাড়তি ফিচার পাওয়া যাবে যার মধ্যে আছে টেক্সট, ইফেক্ট, মিউজিক এবং সাউন্ড ইফেক্ট। এ ছাড়া চাইলে ভিডিওতে লাইভ ডাবিংও করা যাবে অ্যাপটির মাধ্যমে। সম্পাদনা শেষে কমপ্রেস করে ভিডিওর আকার কমিয়ে নেওয়ার সুবিধাও রয়েছে ভিডিও শো’তে। তবে এক্ষেত্রে ভিডিওর মান খারাপ হবে।

কাইন মাস্টার (Kine Master)

অ্যাপটি ইনস্টল করার পর এর আকর্ষণীয় ইউজার ইন্টারফেস সবার নজর কাড়বে। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ব্যবহারকারীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় কাইন মাস্টার। সহজেই মিডিয়া ফাইল যুক্ত করার জন্য অ্যাপটিতে আছে ড্রাগ অ্যান্ড ড্রপ ফিচার। একটি প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারের প্রায় সকল ফিচারই আছে এতে। কিন্তু ফিল্মোরার মতো এ অ্যাপটিতে ফ্রি সংস্করণে ওয়াটারমার্ক দেখা যাবে। ওয়াটারমার্ক অপসারণের জন্য আপগ্রেড করতে হবে প্রিমিয়াম সংস্করণে।

ভিভা ভিডিও (VivaVideo)

কাজের অনেক ফিচার আছে এ অ্যাপে। অ্যান্ড্রয়েড ফোন থেকেই প্রফেশনাল গ্রেডের ভিডিও সম্পাদনায় অ্যাপটির জুড়ি নেই। রয়েছে কয়েক শো ইফেক্ট যা থেকে প্রয়োজন অনুসারে ব্যবহার করা যাবে ভিডিওতে। এ ছাড়া আছে স্টিকার, অ্যানিমেটেড ক্লিপ ও সাবটাইটেল। অ্যাপটিতে আরো রয়েছে বিল্ট-ইন স্লো মোশন ভিডিও মেকার এবং স্লাইডশো মেকার।

এর বাইরে সাধারণ কিছু ফিচার যেমন- ট্রিমিং, কাটিং, মার্জিংয়ের মতো কাজগুলোও করা যাবে খুবই সহজে।

কুইক (Quik)

দারুণ কিছু ভিডিও তৈরি করার জন্য আরো একটি জনপ্রিয় অ্যাপ কুইক। দ্রুততার সঙ্গে ভিডিও সম্পাদনার সুযোগ রয়েছে এ অ্যাপে। এ ছাড়া অ্যাপটিতে আছে বিল্ট-ইন ভিডিও তৈরি করার সুবিধা। ভিডিও সম্পাদনা শেষে রেজ্যুলেশন ঠিক করে সংরক্ষণের পাশাপাশি সরাসরি শেয়ার করার অপশনও রয়েছে। এ অ্যাপটিতেও বিরক্তিকর বিজ্ঞাপনের ঝামেলা নেই।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads