ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় অতিরিক্ত গরম ও রমজান মাসে মানুষের কাছে মৌসুমি ফলের তালিকায় ছিল তরমুজ ও আনারস। গরমের অবসাদ-ক্লান্তি দূর করতে তরমুজ আর আনারসের দাম ও ছিল আকাশ ছোঁয়া। তবে গত দুই দিন ধরে বাজারে তরমুজ ও আনারস অর্ধেক দামে বিক্রি হচ্ছে। মিলছে না ক্রেতাও। যেখানে প্রতি ১ পিছ তরমুজ বিক্রি হতো ৩শ থেকে ৪শ টাকায়। সেখানে ওই তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১৮০ টাকা। আর যেখানে আনারস বিক্রি করতো ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা হালি সেখানে বিক্রি হচ্ছে ৯০-১৫০ টাকায়।এর পাশাপাশি দাম কমেছে কলার হালিও । যেখানে প্রতি হালি কলা ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হতো বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, বৃষ্টিপাতের কারণে গরম কিছুটা কমে যাওয়া ও রমজান শেষ হওয়ায় চাহিদা অনেক কমে গেছে। অতিরিক্ত দামে তরমুজ ও আনারস কিনে আনায় ওই সব নিয়ে অনেকটাই বিপাকে রয়েছেন বলে জানায়। তাছাড়া বাজারে মৌসুমি ফল লিচু আম ওঠায় বিক্রি অনেক কমে গেছে। বাজারে ক্রেতা না পাওয়ায় খুচরা দোকানিরা এক প্রকার অলস সময় পার করছেন।
পৌর শহরের সড়ক বাজার এলাকার আনারস বিক্রেতা মো.মজিবুর রহমান বলেন, রমজানের শুরু থেকে প্রতি হালি আনারস ২৫০-৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু ঈদের পর থেকে চাহিদা অনেক কমে গেছে। বর্তমানে প্রতি হালি আনারস ৯০-১৫০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। পচনের ভয়ে কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানায়। এতে তাদের অনেক টাকা লোকসান শুনতে হবে বলে জানায়।
তরমুজ বিক্রেতা আনোয়ার জানান, রোজার সময় তরমুজের ব্যবসা ভাল ছিল। প্রতি পিছ তরমুজ নিচে ২৫০ থেকে উপরে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বিক্রিতে ভালো লাভ ও হয়েছিল। কিন্তু গত দুইদিন ধরে বেচাকেনায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। প্রতি পিছ ছোট তরমুজ ৭০, মাঝারি ১০০ থেকে ১২০ টাকা ও বড় তরমুজ ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে লিচু ও আম আসতে শুরু করায় তরমুজ বিক্রিতে অনেকটাই ভাটা পড়ে যাওয়ায় লোকসান গুণতে হবে বলে জানায়।
পৌর শহরের দেবগ্রাম এলাকার মো. বাবুল মিয়া বলেন,রমজান মাসে তরমুজের দাম আকাশ ছোঁয়া থাকায় কেনা হয়নি। এখন দাম কমায় ৭০ টাকা দিয়ে ১০০টি তরমুজ কেনা হয়।
শাহজাহান বলেন, রমজান মাসে এক হালি আনারস বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকার উপর। এখন ১০০ টাকা দিয়ে এক হালি কেনা হয়েছে। আমাদের মতো নিম্নআয়ের লোকদের যে মৌসুমি ফল খাওয়ার দিন শেষ হয়ে গেছে।





