দীর্ঘ ২০ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ার অভিনেতা মাজনুন মিজানের। নাটকের পাশাপাশি কাজ করেছেন সিনেমাতেও। তবে এবার ভিন্ন পরিচয় পাচ্ছেন এই অভিনেতা।
প্রথমবারের মতো নাম লিখিয়েছেন পরিচালনায়। ঈদের জন্য ‘আমলকী’ শিরোনামের একটি টেলিফিল্ম পরিচালনা করেছেন মাজনুন মিজান। এরই মধ্যে নোয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায় টেলিফিল্মর দৃশ্য ধারণের কাজ শেষ হয়েছে।
জানা গেছে, ‘আমলকী’ টেলিফিল্মটিতে অভিনয় করেছেন সালাউদ্দিন লাভলু, দীপা খন্দকার, ফারজানা ছবিসহ অনেকেই।
প্রথমবার পরিচালক হওয়া প্রসঙ্গে মাজনুন মিজান বলেন, ‘আমি মনে করি, নাটক শুধু বিনোদনের জায়গা নয়। এটা থেকে শিক্ষাও নিতে হবে। আমরা এখন অনেক দিক থেকে খারাপ সময় অতিক্রম করছি। সেই দায় থেকে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আমি প্রথম নির্মাণে এসেছি। আমার প্রথম নির্মাণে আমি আমার টিমের প্রতি কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে সালাউদ্দিন লাভলু ও আবুল হায়াত আমাকে দারুণভাবে সহযোগিতা করেছেন।’
এই টেলিফিল্মের পাশাপাশি একটি শিক্ষামূলক ছবি নির্মাণ করেন মাজনুন মিজান। যেখানে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত।
মাজনুন মিজান ছোটপর্দা বা বড়পর্দা, দুই অঙ্গনে নিজের অভিনয়ে মুনশিয়ানার ছাপ রেখেছেন বহুবার। বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছে তার নতুন সিনেমা ‘গণ্ডি’। এ ছাড়া আরো দুটি সিনেমা রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়।
‘গণ্ডি’ ছবিতে সব্যসাচীর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে মিজান বলেন, ‘বেশ ভালো আসলেই। শুধু গুণী অভিনেতা হলেই হয় না, শিল্পীদের মন বড় হতে হয়। সব্যসাচী এমনই একজন মানুষ। তার বিনয় যেকোনো সহশিল্পীকে মুগ্ধ করবে। এত বড় মাপের একজন শিল্পী হয়েও সহশিল্পীদের প্রতি তার যে সম্মানবোধ, সেটি মনে থাকবে আজীবন। এ ছাড়া অভিনয়ের অনেক কিছু শিখেছি। আর বেশ কিছু স্মৃতি জমা হয়েছে তাকে ঘিরে। এটিও আনন্দের বিষয়।’
বড়পর্দা নিয়েই এখন চিন্তা মিজানের। বলেন, ‘সিনেমা নিয়ে সব সময় সিরিয়াস। এখন অনেকটা নিয়মিত বলা যায়। কারণ, যে কটি সিনেমা এখন পাচ্ছি, সেগুলো ব্যাটেবলে মিলে যাচ্ছে। সে জন্যই কাজ করা। নিয়মিত সিনেমা পেলে নিয়মিতই কাজ করতে চাই। তবে এমন কিছু কাজ করতে চাই, যেগুলোতে অভিনয় করে নিজে তৃপ্ত হব। আরো দুটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে, এর মধ্যে রয়েছে মিশন এক্সট্রিম ও রাত জাগা ফুল।’