বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে অফিসের সময় কমানো হবে নাকি বাসা থেকে অফিসের কার্যক্রম (ওয়ার্ক ফ্রম হোম) চলবে তা শিগগিরই চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন। সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অফিস সময় কমিয়ে আনা হতে পারে অথবা ওয়ার্ক ফ্রম হোম করা হতে পারে। অফিসে যতটুকু না করলেই না এমনভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করার বিষয়টি চিন্তা করছি। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে এ বিষয়ে জানাব। মানুষের কষ্ট যাতে না হয় সেটা বিবেচনায় রেখে সিদ্ধান্ত নেব। আলোচনার পর্যায়ে আছে। কেউ বলছে ৯টা-৩টা বা ৪টা, তবে এটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা চলছে। যেটা করলে ভালো হয় সেটাই করব। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সিদ্ধান্তটা আমরা নেব। আমরা সব বিষয় বিশ্লেষণ করে সঠিক কাজটি করার চেষ্টা করব।
এর আগে এদিনই বিদ্যুৎ সংকটে মঙ্গলবার থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্তের কথা জানায় সরকার। লোডশেডিং হতে পারে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত। একই সঙ্গে সপ্তাহে এক দিন বন্ধ থাকবে পেট্রল পাম্প।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক সমন্বয় সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত সাময়িক। বিশ্ব পরিস্থিতির উত্তরণ হলে আগের অবস্থানে ফিরে আসা হবে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, এখন থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সারা দেশে এক দিন পেট্রল পাম্প বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে কীভাবে, কোন পদ্ধতিতে বন্ধ রাখা হবে, সেটা পরে জানানো হবে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস এ সময় জানান, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারি-বেসরকারি অফিস ভার্চুয়ালি করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়। সরকারি অফিসগুলোতে কীভাবে সময় কমিয়ে আনা যায়, সেটাও ভাবা হচ্ছে।