কৃষি অর্থনীতি

অফ সিজনে মিষ্টি কুমড়ো চাষে কৃষকের ভাগ্য বদল

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ৭ নভেম্বর, ২০২৩

নন্দীগ্রাম থেকে মাসুদ রানা:

বগুড়ার নন্দীগ্রামে ২৫শতক জায়গায় অফ সিজন মিষ্টি কুমড়ো চাষ করে গফফারের ভাগ্যবদল, চোখে মুখে দেখা দিয়েছে স্বপ্ন পুরুনের হাত ছানি। বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার ৫নং ভাটগ্রাম ইউনিয়নের ভাটগ্রাম পশ্চিম পাড়ার আলহাজ্ব আয়েত আলী ছেলে গফফার। কৃষি প্রেমী এই গফফার লেখা পড়ার জীবন শেষ করে চাকুরির পিছনে না ছুটে ঝুঁকে পড়েন কৃষিতে। পরিকল্পনা করেন কৃষি বিল্পব ঘটানোর।  

 এরই ধারাবাহিকতায় তিনি ২০২৩ সালে উদ্যোগ নেন অফ সিজন মিষ্টি কুমড়ো চাষ করার। কৃষি অফিসের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন ইস্ট ওয়েস্ট বীজ কোম্পানির সাথে। ইস্ট ওয়েস্ট কোম্পানির বগুড়া জেলা শাখা থেকে কৃষক গফফার  পরিক্ষা মূলক ৫৫০ পিচ বাটারনাট ও স্পটেট জাতের মিষ্টি কুমড়ো বীজ সংগ্রহ করে সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে তা রোপন করেন, এখন গফফারে ২৫ শতক জমির মাচায় সারি সারি ভাবে ঝুলছে মিষ্টি কুমড়ো। অপরদিকে ২৫ শতক জমিতে দেখা যায় করলা সহ টমেটো। এপ্রর্যন্ত ২৫ শতক জমিতে মিষ্টি কুমড়ো চাষে তার ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। মিষ্টি কুমড়ো তুলে ৫০ টাকা কেজিতে  বাজারে বিক্রয় করছেন গফফার।

সরেজমিনে মাঠে গিয়ে দেখা যায় মাথায় গামছা বেঁধে মিষ্টি কুমড়োর জমিতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন, বাবা ও ছেলে এবং তাদের বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছে উপ-সহকারী কৃষি অফিসার শাহাদত হোসেন। জানতে চাইলে কৃষি অফিসার বলেন, গফফার নন্দীগ্রাম উপজেলায় একজন সফল কৃষক তিনি কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী ২৫ শতক জমিতে করলা ,টমেটো ও ২৫ শতক জমিতে মিষ্টি কুমড়ো চাষ করেছে  আমি সব সময় তাকে কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ প্রদান করছি এবং নিয়মিত জমি পরিদর্শন করছি আশা করছি গফফার মিষ্টি কুমড়ো চাষে অনেক লাভবান হবেন।

চাষি গফফারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি পড়াশোনা শেষ করে চাকুরির পিছনে না ছুটে ২০২০ সালে ৬শতক জায়গার উপর উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ টমেটো বেগুন চাষ শুরু করেছিলাম। ২০২২ সালে ৫০ শতক জায়গার উপর অফ সিজন তরমুজ চাষ করে অনেক লাভবান হয়েছি।  এখন আমার ৫০ শতক জায়গার উপর  মালচিং পদ্ধতিতে মিষ্টি কুমড়ো, করলা টমেটো চাষ করেছি। মিষ্টি কুমড়ো কাটা শুরু হয়েছে আর ১সপ্তাহ পর ফল  পুরোপুরি ভাবে ফল সংগ্রহ করতে পারবো। যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দেয় এবং বাজারে ফলের দাম ভালো পেলে ১ থেকে দেড় লক্ষ টাকা বিক্রয় করতে পারবো বলে আশা করছি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি অফিসার গাজিউল জানান,  অফ সিজন মিষ্টি কুমড়ো ব্যাপক লাভজনক একটি ফসল, এই মিষ্টি কুমড়ো চাষে অন্যান্য ফসলের চেয়ে খরচ কম এবং লাভ বেশি হওয়ায় এই উপজেলার অনেকেই ঝুঁকছেন এই মিষ্টি কুমড়ো চাষে। এর আগেও গফফার অফ সিজন তরমুজ চাষ করে লাভবান হয়েছেন  এবারো তিনি মিষ্টি কুমড়ো চাষ করেছেন আশা করছি বাজারে বিক্রয়ের মধ্য দিয়ে তিনি অনেক লাভবান হবেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads