অনাবাদি জমিতে সূর্যমুখীর চাষ

অনাবাদি জমিতে চাষিরা সূর্যমুখী (সয়াবিন) চাষ করে লাভের মুখ দেখেছেন

সংগৃহীত ছবি

ফিচার

অনাবাদি জমিতে সূর্যমুখীর চাষ

  • প্রকাশিত ২ অক্টোবর, ২০১৮

রাশেদ আমিন চোধুরী, কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালি)

নোয়াখালীর উপকূলীয় চরাঞ্চল সুবর্ণচর ও সদরের বিভিন্ন ইউনিয়নে রবি মৌসুমে অনাবাদি জমিতে চাষিরা সূর্যমুখী (সয়াবিন) চাষ করে লাভের মুখ দেখেছেন। মোট ১২টি চরে ৭০০ একর জমিতে চাষিরা এ ফসলের চাষ করেছেন। প্রতি একরে সূর্যমুখী চাষে খরচ হয় মাত্র ১৪ হাজার টাকা। অথচ ফুলের বীজ বিক্রি করে পাওয়া যায় ৭৮ হাজার টাকা। প্রতিবছর রবি মৌসুমে লবণাক্ততার কারণে নোয়াখালীর সদর-সুবর্ণ চরের পশ্চিম চর জব্বর, চর কাজী মোখলেছ গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন ২ একর অনাবাদি কৃষি জমিতে এ ফসলের চাষ করেন এবং তার পাশের গ্রামের লোকজন এই কৃষকের দেখাদেখি এ বছর আবুল হাসেম নামে এক কৃষক ৩ একর জমিতে সূর্যমুখীর বীজ লাগিয়েছেন। কয়েক দিনের মাথায় সে বীজ থেকে চারা গজায়। আর এখন চারাগুলো বড় হয়ে তাতে ফুল ফুটেছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই বীজগুলো বাজারজাত করা হবে। সূর্যমুখীর বীজ বিক্রি করে লক্ষাধিক টাকা লাভ হবে বলে তারা মনে করেছে। পাশের এওজবালিয়া গ্রামের কৃষক শহীদ উল্লা এক একর অনাবাদি জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেন। তার পাশের বাড়ির আছিয়া খাতুন পরীক্ষামূলকভাবে পাঁচ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেন। অপরদিকে বেসরকারি সংস্থা গ্লোব অ্যাগ্রো ফিশারিজ সুবর্ণচরে ৩০০ একর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ শুরু করেন। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সংস্থাটির ভোজ্য তেলের কারখানার জন্য এ বীজ এ চরের কৃষক থেকে সংগ্রহ করা শুরু করেছে।

গ্লোব অ্যাগ্রো ফিশারিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশিদ জানান, দুই বছর আগেই তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে সুবর্ণচরের সূর্যমুখীর চাষ শুরু করি। গত ডিসেম্বরে এ চরের কৃষকরা আমাদের থেকে বীজ নিয়ে প্রায় ৭০০ একর জমিতে বীজ বোপণ করেন। প্রতিমণ বীজের দাম ১১০০ টাকা। ভালো ফলন থেকে অনেক কৃষকই এখন সূর্যমুখী চাষের প্রতি ঝুঁকে পড়েছেন। গতকাল বুধবার সদর-সুবর্ণচরের চর আমান উল্লা, চর জুবলী, চর জব্বর, পশ্চিম চর বাগ্যা, এওজবালিয়া, ধুমচরসহ প্রতিটি চরে সূর্যমুখী আর সূর্যমুখীর হলুদ সমারোহ। সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, অনাবাদি জমিতে সূর্যমুখীর চাষ কৃষি ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার জন্ম দিয়েছে। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads