২০২১ সালের মধ্যে ১২ হাজার ৬৭৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন ভবন নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে ২০০৯ থেকে ২০১৮ পযর্ন্ত মোট দশ বছরে ১১ হাজার ৩০৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এই সময়ে অবকাঠামো নির্মাণে সরকারের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫ হাজার কোটি টাকা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বিগত দশ বছরে শিক্ষা খাতে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। গড়ে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে দুই কোটি টাকার অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে বলে শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তারা আরো জানিয়েছেন, ঢাকা শহরে ১১টি সরকারি স্কুল ও ৬টি নতুন সরকারি কলেজ স্থাপন এবং খুলনা, বরিশাল ও সিলেট শহরে ৭টি নতুন সরকারি স্কুল স্থাপন কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া জেলা পর্যায়ে ৭০টি স্নাতকোত্তর সরকারি কলেজের একাডেমিক কাম পরীক্ষাকেন্দ্র্র ও ছাত্রছাত্রীদের জন্য হোস্টেলসহ ২১৯টি ভবনের নির্মাণকাজ চলছে এবং ঢাকা মহানগরীর সন্নিকটবর্তী এলাকায় ১০টি সরকারি হাই স্কুল নির্মাণকাজের ভূমি অধিগ্রহণ করার প্রক্রিয়া চলছে।
প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গাইডলাইন অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ভবন নির্মাণ সম্পর্কে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের (ইইডি) প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মো. হানজালা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গাইডলাইন অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ই-টেন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অবকাঠামো নির্মাণের কার্যাদেশ দেওয়ায় গুণগত মান ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়েছে। সরকারি হাই স্কুল ও কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে ৬ থেকে ১০তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।
মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুই মেয়াদে দেশে ৫টি নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। সরকারের গত মেয়াদে ৪টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন করা হয়েছে।
রাজস্ব বাজেটে জেলা পর্যায়ের ঐতিহ্যবাহী সরকারি ও বেসরকারি এক হাজার ৫০০টি কলেজে হোস্টেল নির্মাণের জন্য একটি পৃথক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইইডি’র প্রধান প্রকৌশলী। তিনি আরো জানিয়েছেন, উন্নয়নকাজ অধিকতর গতিশীল করতে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের যাবতীয় কার্যক্রম ইতোমধ্যে বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ইতোমধ্যে তিন হাজার নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উন্নয়নকাজ সম্পন্ন এবং তিন হাজার ২৫০টি বিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজ চলমান রয়েছে।