`গবেষণা ফার্মেসি বিভাগের নয়'

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

দুধে অ্যান্টিবায়োটিক

`গবেষণা ফার্মেসি বিভাগের নয়'

  • ঢাবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৯ জুন, ২০১৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার জানিয়েছেন পাস্তুরিত দুধসহ কিছু খাদ্যপণ্যের মান নিয়ে তুলে ধরা গবেষণার সঙ্গে ওই বিভাগের সংশ্লিষ্টতা নেই।

ওই গবেষণার সঙ্গে ‘ফার্মেসি বিভাগের’ নাম জুড়ে দিয়ে সেটাকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা’ আখ্যা দিয়ে আগের দিন সংসদে এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী শ্রী স্বপন ভট্টাচার্যের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার এক প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান তিনি।

ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান সীতেশ চন্দ্র বলেন, সংসদে প্রতিমন্ত্রী যেহেতু ফার্মেসি বিভাগ নিয়ে কথা বলেছেন, সেহেতু বিভাগের দায়বদ্ধতা এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। তবে ফার্মেসি বিভাগের যেহেতু এখানে সংশ্লিষ্টতা নেই তাই আমরা এই প্রতিবাদলিপি দিয়েছি।

বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাতটি প্যাকেটজাত (পাস্তুরিত) দুধের নমুনা পরীক্ষা করে সেগুলোতে মানুষের চিকিৎসায় ব্যবহূত শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পাওয়ার কথা জানিয়ে গত বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক। ফার্মেসি অনুষদের শিক্ষকদের নিয়ে তিনি এ গবেষণা করেছেন বলে জানান।

পরদিন সংসদে এর প্রতিবাদ জানিয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন বলেন, কিছু অসৎ ব্যবসায়ী ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটির একটি টেস্ট রিপোর্ট’ দিয়ে বলছে, মিল্ক ভিটাতে আর্সেনিক আছে। মিল্ক ভিটা দুধের মধ্যে নাকি ফরমালিন আছে। এটি একটি সর্বৈব মিথ্যা কথা। এ ক্ষেত্রে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সুর মিলিয়ে অধ্যাপক বাছারও অভিযোগ করেন, অধ্যাপক ফারুক ‘ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য’ হাসিলের জন্য এ গবেষণা করেছেন। তিনি বলেন, ফার্মেসি অনুষদভুক্ত ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি, ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি, ফার্মাকোলজি ও ওষুধপ্রযুক্তি বিভাগের মোট নয়জন শিক্ষক এই গবেষণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন।

এই বিষয়ে ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস এম আবদুর রহমান বলেন, একটি অনুষদের মধ্যে অনেক গবেষক থাকেন। এটা হলো একটি টিমের গবেষণা। এই গবেষণার ফলাফল কোনো প্রতিষ্ঠানের না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads