ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করছে। গত দু’দিন ধরে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি ও হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। এতে স্বাভাবিক জীবন-যাত্রা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। হিমেল হাওয়ার সাথে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। বিপাকে রয়েছে দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষরা। এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। তবে মোংলা বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
শনিবার সকাল তৈরি হওয়া বৈরি আবহাওয়া রোববারও সূর্যের দেখা মেলেনি। রোববার দুপুর থেকে অবিরাম বৃষ্টিতে জীবন-যাত্রা কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। শীত ও বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
বাগেরহাট শহরের রিক্সা চালক আনিছুর রহমান জানান, প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে আসছে না। শনিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া রোববার পর্যন্ত অবিরাম গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে তাদের রোজগার একেবারেই কমে গেছে। সারাদিনে ১শ টাকার কিছু বেশি আয় হয়েছে।
উপকূলীয় উপজেলা শরণখোলা ছগির মাঝি জানান, দু‘দিন এমন বৈরী আবহাওয়ায় এই এলাকার মানুষ কিছুটা ঘূর্ণিঝড় আতংকে আছে। এর মধ্যে মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ থাকছে না। তবে বাতাসের গতি তেমন বেশি দেখা যাচ্ছে না।
বাগেরহাট জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান জানান, শনিবার বিকেলে জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ এর প্রভাব মোকাবেলায় সর্তক থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সমুদ্রের থাকা মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাকা আমন ধান দ্রুত কেটে সংরক্ষণ, শুকনা খাবার ও সাইক্লোন সেল্টার সমুহ প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দীন জানান, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ এর প্রভাব মোংলা বন্দরে পড়েনি। বন্দরের সকল পণ্য খালাস-বোঝাই কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে।