মনোনয়নবঞ্চিতরা বিএনপি অফিসে হামলা করেছেন

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

সংরক্ষিত ছবি

রাজনীতি

ওবায়দুল কাদের বললেন

মনোনয়নবঞ্চিতরা বিএনপি অফিসে হামলা করেছেন

  • নোয়াখালী প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৯ ডিসেম্বর, ২০১৮

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, টেকনোক্র্যাট চার মন্ত্রী রোববারের (আজকের) পর দায়িত্বে থাকছেন না। গতকাল শনিবার নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, নির্বাচনকালীন অনির্বাচিত কোনো ব্যক্তি মন্ত্রী থাকতে পারবেন না। অলরেডি চারজন টেকনোক্র্যাট মিনিস্টার প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগ করেছেন। এই পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রী হয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে অলরেডি চলে গেছে। ৯ তারিখের পর টেকনোক্র্যাট যে চারজন মিনিস্টার আছেন যারা পদত্যাগ করেছেন তারা আর দায়িত্বে থাকবেন না। নির্বাচনকালীন সরকারের আকার নিয়ে কাদের বলেন, মন্ত্রিসভাকে ছোট করা হবে এমন কোনো বিধান আমাদের সংবিধানে নেই। পৃথিবীর সব গণতান্ত্রিক দেশে এগজিস্টিং যে গভর্নমেন্ট থাকে, সেই গভর্নমেন্টই নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন করে; নির্বাচন কমিশনকে ফ্যাসিলিটেট করে, সাপোর্ট করে, সহযোগিতা করে। আমাদের এখানে গতবার সাইজটা একটু ছোট রাখা হয়েছিল। এটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছে করলে যেমন আছে তেমনও রাখতে পারেন। ইচ্ছে করলে বড় করতে পারেন, ইচ্ছে করলে ছোটও করতে পারেন।

বিএনপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা ঘর গোছাতে পারেনি। তাদের জগাখিচুড়ি ঐক্য। এই জগাখিচুড়ি ঐক্যের যে পরিণতি সেই পরিণতি এখন তারা পদে পদে অনুভব করছে। তিনি বলেন, মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে বঞ্চিতরা বিএনপি মহাসচিবের অফিসে হামলা করেছে। যাদের থেকে টাকা নিয়েছে মনোনয়ন পায়নি তারা হামলা চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্যের কোনো অভিযোগ নেই। তিনি বলেন, এ এলাকায় (নোয়াখালীর কবিরহাট) বিএনপি প্রার্থী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ জনপ্রিয়তা হারিয়ে আচরণবিধি ভঙ্গ করছেন। জনগণ তার সঙ্গে নেই। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন তিনি লাঠিসোটা নিয়ে তা জমা দিয়েছেন। নিজ দলের লোকজনকে দিয়ে বোমা ফাটিয়ে আমাদের ওপর দোষ দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হলে খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা বৈধতা পাবে বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্যের বিষয়ে কাদের বলেন, বাংলাদেশের আইন নিয়মকানুন সবকিছুই কি তাদের স্বার্থে বিসর্জন দিতে হবে? এটা তো আইনের ব্যাপার, এটা আদালতের ব্যাপার। আদালত তাকে দণ্ড দিয়েছে। ১৭ বছরের দণ্ড। তারা যদি মনে করে দণ্ডিত ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দিতে হবে নির্বাচন করার জন্য। এই আইন পৃথিবীর কোনো দেশে নেই। বাংলাদেশে মির্জা ফখরুলদের জন্য নতুন করে আইনের ব্যাখ্যা দিতে হবে না। এখানে কোনো সুযোগ নেই। আদালতের রায় লঙ্ঘন করার ক্ষমতা কারো নেই।

এ সময় নোয়াখালী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবিএম জাফর উল্যাহ, কবিরহাট পৌরসভা মেয়র জহিরুল হক রায়হান, কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল আমিন রুমিসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads