ভিকারুননিসায় নতুন অধ্যক্ষ প্রভাতী শাখার প্রধান নিয়োগ

ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজ

সংরক্ষিত ছবি

শিক্ষা

ভিকারুননিসায় নতুন অধ্যক্ষ প্রভাতী শাখার প্রধান নিয়োগ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৮ ডিসেম্বর, ২০১৮

এক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় বিক্ষোভের মুখে তিন শিক্ষককে বরখাস্ত করার পর ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ এবং প্রভাতী শাখার প্রধান পদে নতুন দুজনকে নিয়োগ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ঢাকার নামি এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নতুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হয়েছেন কলেজ শাখার সহকারী অধ্যাপক হাসিনা বেগম। তিনি অর্থনীতি বিষয়ের শিক্ষক। আর বেইলি রোডে প্রভাতী শাখার প্রধানের দায়িত্ব পেয়েছেন মহসিন তালুকদার। ভিকারুননিসার পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান গোলাম আশরাফ তালুকদার গতকাল শুক্রবার রাতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

এদিকে অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ‘প্ররোচনার’ অভিযোগে করা মামলায় কারাগারে থাকা শিক্ষক হাসনা হেনার মুক্তির দাবিতে এবার আন্দোলনে নেমেছে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একদল শিক্ষার্থী। অভিভাবকদের পাশাপাশি তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সাবেক শিক্ষার্থীরাও। গতকাল শুক্রবার দুপুরে স্কুলের প্রধান ফটকের সামনে ‘ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রীবৃন্দ’ ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে তারা।

‘নিরপরাধ হাসনা হেনা আপার নিঃশর্ত মুক্তিসহ সসম্মানে ফিরিয়ে আনার দাবিতে’ এই অবস্থান কর্মসূচি থেকে ‘অরিত্রী আমার বোন, হাসনা হেনা আমার মা’, ‘যাদের হাতে মানুষ গড়া তাদের কেন হাতকড়া?’, ‘শিক্ষকের অপমান মানি না, মানব না’, ‘বিচার চাই, অবিচার না’ ইত্যাদি স্লোগানও দেওয়া  হয়।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থী নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলে, যে শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে উনি কোনোভাবে অরিত্রীর ঘটনায় দায়ী নন। ওনার নাম কোনোভাবেই ঘটনার সঙ্গে আসেনি। উনি পরিস্থিতির শিকার বলে আমরা মনে করছি। ওই শিক্ষার্থী বলেন, কোনো শিক্ষিকা যাতে অন্যায়ভাবে হয়রানির শিকার না হন, আমরা সেটাও চাচ্ছি।

নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী গত সোমবার আত্মহত্যা করার পর থেকে উত্তেজনা চলছে রাজধানীর নামি এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। অভিযোগ উঠেছে, পরীক্ষার সময় অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পাওয়ার পর তার বাবা-মাকে ডেকে নিয়ে ‘অপমান করেছিলেন’ অধ্যক্ষ। সে কারণে ওই কিশোরী আত্মহত্যা করেন। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, অরিত্রী রোববার বার্ষিক পরীক্ষায় মোবাইল ফোনে নকলসহ ধরা পড়েছিল।

হাসনা হেনা ছিলেন অরিত্রীর ক্লাস টিচার। অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় তার বাবা যে মামলা করেছিলেন সেখানে ভিকারুননিসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আখতারের সঙ্গে তাকে আসামি করা হয়।

এ ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তদন্তে অরিত্রীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার জন্য তাদের চিহ্নিত করার পর বুধবার তিন শিক্ষককে বরখাস্ত ও তাদের এমপিও বাতিল করা হয়। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পুলিশ ও র্যাবকে চিঠি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রাতেই হাসনা হেনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ঢাকার মহানগর হাকিম আবু সাঈদ বুধবার এই শিক্ষকের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে নেওয়ার আদেশ দেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads