যশোর, নড়াইল, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জে গত সোমবার রাত থেকে গতকাল মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত কথিত বন্দুকযুদ্ধে ৬ জন নিহত হয়েছে। পুলিশ ও র্যাবের দাবি, নিহতদের মধ্যে চারজন ডাকাত ও দুজন মাদক ব্যবসায়ী। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
যশোর : গতকাল পুলেরহাট-রাজগঞ্জ সড়কের গাঙ্গুলিয়া জামতলা এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে দুটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের পরিচয় জানা যায়নি। মনিরামপুর থানার ওসি মোকাররম হোসেন জানান, সোমবার রাতে গাঙ্গুলিয়া জামতলা মোড়ে গুলির শব্দ শুনতে পায় পুলিশের টহল দল। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তার দুই পাশে দুটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পুলিশের ধারণা, দুদল ডাকাতের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের একপর্যায়ে তারা মারা যায়।
নড়াইল : নিহত জাকির সিকদার (৩৫) লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের ঘাঘা গ্রামের কালাম সিকদারের ছেলে। লোহাগড়া থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানান, সোমবার রাত ৩টার দিকে কচুবাড়িয়া এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ডাকাতদের গোলাগুলি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ গুলিবিদ্ধ এক ডাকাতকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ : নিহত ফারুক হোসেন (৩৫) শিবগঞ্জ উপজেলার গোলাপ বাজার এলাকার নওশাদ আলীর ছেলে। র্যাব-৫ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের ডেপুটি কমান্ডার এএসপি আবু খায়ের জানান, সোমবার রাত দেড়টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার মোহাম্মদপুরে শিবগঞ্জ-চৌডালা সড়কের কাছে র্যাবের একটি টহল দলকে লক্ষ্য করে ডাকাতরা গুলি ছোড়ে। র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। পরে সেখানে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাটোর : নিহত আহাদুল ইসলাম লালপুর উপজেলার তিলকপুর গ্রামের মোমিন মণ্ডলের ছেলে। র্যাব-৫ সিপিসি-২-এর কমান্ডার মেজর শিবলী মোস্তফা জানান, সোমবার মধ্যরাতে উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের আনসার কাটা মোড়ে মাদক ব্যবসায়ীরা র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে সেখানে গুলিবিদ্ধ একজন মাটিতে পড়ে যায় এবং অন্যরা পালিয়ে যায়। এ সময় র্যাবের দুই সদস্য আহত হন। গুলিবিদ্ধ ওই মাদক ব্যবসায়ীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নারায়ণগঞ্জ : নিহত আলমগীর সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের বেপারিপাড়া এলাকার মৃত মানিক মিয়ার ছেলে। র্যাব-১১-এর এএসপি বিল্লাল হোসেন জানান, গতকাল ভোরে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি এলাকায় আলমগীর ও তার সহযোগীরা র্যাবের ওপর হামলা চালায়। এ সময় র্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলেই মারা যায় আলমগীর। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে।