টমেটোর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

টমেটোর বাম্পার ফলন

সংগৃহীত ছবি

ফিচার

টমেটোর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

  • প্রকাশিত ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮

নূর-ই-আলম সিদ্দিক, নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম)

টমেটো ক্ষেতগুলোর প্রতিটি টমেটোর শাখা-প্রশাখা এখন সবুজ, সতেজ লতাপাতা আর হলদে ফুল ও কুঁড়িতে ভরপুর। তা দেখে কৃষকের চোখে-মুখে প্রশান্তির ছাপ। সরেজমিনে নাগেশ্বরীর বদিজ্জামানপুর, মালভাঙ্গা, খাসমহল, চর রহমানের কুটি, কাপালীপাড়া, বেগুনীপাড়া, বটতলাসহ পাইকেরটারীর ছোট-বড় বেশ কয়েকটি টমেটো ক্ষেত ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না এলে এবার টমেটোর বাম্পার ফলন হবে এমন আশাবাদী এসব গ্রামের টমেটো চাষিরা। তবে টমেটো চাষে সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা, তাৎক্ষণিক রোগবালাই শনাক্তকরণ ও প্রতিকারে সরকারি নজরদারি না থাকায় আর্থিক লাভ থাকার পরেও টমেটো চাষে আগ্রহী হচ্ছে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেন বেশকিছু কৃষক।

কাপালীপাড়ার টমেটোচাষি নূরল ইসলাম জানান, আমার আদি পেশা কৃষি, অন্য সব ফসল থেকে টমেটোতে অনেক লাভ। তাই এবারো দেড় বিঘা (৪৮ শতক) জমিতে টমেটো আবাদ করেছি। ৪৮ শতক জমিতে টমেটো চাষ করতে এ পর্যন্ত ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আল্লাহ সহায় থাকলে আর বড় কোনো বিপদ-আপদ না হলে এই ৪৮ শতক জমি থেকে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করবেন বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। একইভাবে কথা হয় অনেকের সঙ্গে। তবে সবার কথায় টমেটো চাষে টমেটোর বিপদকালীন প্রয়োজনীয় পরামর্শ, সাহায্য-সহযোগিতা দিয়ে কৃষকদের টমেটো চাষে আরো বেশি আগ্রহী করে তোলার জন্য সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগকে এগিয়ে আসার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামছুজ্জামান বলেন, টমেটো চাষে সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ না থাকায় আমরা কৃষকদের টমেটো চাষে কোনো উপকরণ দিতে পারি না। তবে টমেটো চাষ সম্প্রসারণে ও কৃষকদের আগ্রহী করতে আমরা কৃষি বিভাগ থেকে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads