মোস্ট ওয়ান্টেড জইশ-ই-মোহাম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারের মৃত্যুর গুজব উঠেছে। গতকাল রোববার দুপুর থেকেই ভারত-পাকিস্তান দুই দেশেই গুজবটি ছড়িয়ে পড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন টুইট এবং ফেসবুক পোস্টে এ রকম জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। একাধিক পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ওই জঙ্গি নেতার মৃত্যু হয়েছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা।
ভারতের একাধিক টেলিভিশন চ্যানেলেও এ দিন বিকাল থেকে জঙ্গি নেতার মৃত্যুর গুজবের বিষয়টি জানায়। তবে কেউই কোনো সূত্র উল্লেখ করেননি। পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমেও এ বিষয়ে কোনো কিছু জানায়নি। ভারতের গোয়েন্দাদের একাংশের আশঙ্কা, পাকিস্তানের গোয়েন্দারা পরিকল্পিতভাবে এই মৃত্যুর সংবাদ ছড়ানোর চেষ্টা করছেন।
সংবাদ সংস্থা আইএএনএস তাদের রিপোর্টে সোশ্যাল মিডিয়ায় মাসুদ আজহারের মৃত্যু নিয়ে জল্পনার কথা উল্লেখ করেছে। কয়েকদিন আগেই পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, মাসুদ আজহার পাকিস্তানেই আছেন। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ এবং বাড়ির বাইরে বেরোতে পারেন না। ভারতীয় গোয়েন্দাদের একাংশ দাবি করে, দীর্ঘদিন ধরেই মোস্ট ওয়ান্টেড মাসুদ আজহার কিডনির অসুখে ভুগছেন এবং কার্যত শয্যাশায়ী।
ভারতের গোয়েন্দারা পুলওয়ামায় হামলাকারী যুবক আদিল দারকে পাঠানো মাসুদের যে অডিও ক্লিপ উদ্ধার করেছিল, সেই অডিওতে তার কণ্ঠস্বর খুব ক্ষীণ শোনা গিয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন সেনা গোয়েন্দাদের একাংশ। ভারতের অন্য একটি গোয়েন্দা সংস্থার মতে, দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের সেনা হাসপাতালে ডায়ালিসিস চলছিল ওই জঙ্গি নেতার। কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল দাবি করেছে, শনিবারই মৃত্যু হয়েছে মাসুদের। ষাট বছর বয়সী মাসুদের মৃত্যু নিয়ে ভারতীয় গোয়েন্দারা এখনো সুনির্দিষ্টভাবে কোনো তথ্য দেননি।
তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হয়েছে, বালাকোটের বিমান হামলায় জখম হন ওই জইশ নেতা। তারপরই তিনি ভেন্টিলেশনে চলে যান। তবে সেই তথ্যের সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন আছে। কারণ বিশেষজ্ঞদেরই ধারণা, পুলওয়ামার ঘটনার পর ভারত যেকোনো সময় পাল্টা হামলা চালাতে পারে, এই আশঙ্কা তাদের ছিল। সেখানে মাসুদের মতো শীর্ষ নেতা কেন বালাকোটে যাবেন। তিনি আরো নিরাপদ কোথাও থাকবেন, এটাই স্বাভাবিক। তাই ধারণা করা হচ্ছে, খুব পরিকল্পিতভাবেই ভারতীয় গোয়েন্দাদের বিপথে চালিত করতে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা এবং জইশ প্রধানের মৃত্যুর খবর ছড়াচ্ছে।
