উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে চট্টগ্রামে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রায় ৫০ কোটি টাকার জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার জেলার হাটহাজারীতে সরকারহাট বাজারে এ অভিযান চালানো হয়। সওজের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (উপ-সচিব) মনোয়ারা বেগম ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুহুল আমিনের নেতৃত্বে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রায় সাত ঘণ্টার অভিযানে কয়েকশ অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের পাশে সরকারহাট বাজারের দুই পাশে কাঁচা-পাকা দোকানঘর নির্মাণ করে দখলে রেখেছিল সড়ক ও জনপদ বিভাগের ৪ একর জায়গা। সওজের পক্ষ থেকে তাদের কয়েকবার নোটিশ দেওয়া হলেও তারা কেউ কর্ণপাত করেনি। অবশেষে উপজেলা প্রশাসন, সওজ, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ বিভাগ, পল্লীবিদ্যুৎ ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে দীর্ঘদিনের বেদখলীয় জায়গা উদ্ধার করা হয়।
সরেজমিন দেখা যায়, দুটি বুলডোজার একের পর এক পাকা স্থাপনা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। এ সময় হাজারো উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। উচ্ছেদের শিকার দোকানদার ছাড়া সব মানুষ এই উচ্ছেদ অভিযানে বাহবা জানিয়েছে। বিশেষ করে নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিনকে। কারণ, হাটহাজারীতে এটিই সর্ববৃহৎ উচ্ছেদ অভিযান, যা পূর্বে কেউই সাহস করেনি। এর দ্বারা সওজের জায়গা উদ্ধারের পাশাপাশি চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে যানজট নিরসন হবে।
ইউএনও বলেন, সওজের হোক বা সরকারি খাস হোক- এসব জায়গা দখলে রাখার প্রশ্নই আসে না, এগুলো সরকারের টাকা দিয়ে কেনা। অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, আজকের এ অভিযান তাদের জন্য বার্তা যারা সরকারি জায়গা দখলে আছে। সরকারি জায়গা আপসে বুঝিয়ে দিলেই ভালো হয়। উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (সওজ) সৌম্য তালুকদার বলেন, দীর্ঘদিন দখলে থাকা সওজের জায়গা উদ্ধার হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আমাদের সব জায়গা উদ্ধার করা হবে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান নুরুল আবছার উদ্ধার অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, সওজের জায়গাগুলো উদ্ধার হওয়ায় সবচেয়ে বেশি উপকার হবে যানজট নিরসনের। বৃহৎ স্বার্থে আমি সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তবে অভিজ্ঞ মহল জানায়, সরকারহাটের মতো হাটহাজারীর অনেক জায়গায় এভাবে সওজের সম্পদ বেদখলে আছে। দ্রুত যেন সে জায়গাগুলো উদ্ধার করা হয়। না হলে প্রশাসনসহ সবাই সমালোচনার মুখে পড়বে।