ইয়াবার কারণে কক্সবাজারের পরিচয় দিলে লজ্জা পেতে হয় : আবু মোর্শেদ চৌধুরী

চেম্বার অব কমার্স সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী

সংগৃহীত ছবি

ফিচার

ইয়াবার কারণে কক্সবাজারের পরিচয় দিলে লজ্জা পেতে হয় : আবু মোর্শেদ চৌধুরী

  • প্রকাশিত ২৩ অক্টোবর, ২০১৮

কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেছেন, আগে কোনো সভা-সেমিনারে যোগ দিতে ঢাকা কিংবা চট্টগ্রামে গেলে কক্সবাজারের পরিচয় পেলে অন্যরা ভালো চোখে দেখতেন। অনেকে স্বউদ্যোগে পরিচিত হতে আসতেন। কিন্তু এখন কক্সবাজারের পরিচয় পেলে বাঁকা চোখে দেখেন। ইয়াবা আছে কি-না জিজ্ঞেস করেন। এতে খুব অপমানিত হই। এই বদনাম ঘোচাতে না পারলে আগামী প্রজন্ম আমাদের ধিক্কার দেবে। আমি মনে করি সরকার চাইলে সবকিছু সম্ভব। দেশে জঙ্গিবাদের মতো বিষয় নিয়ন্ত্রণ করা গেলে ইয়াবা কেন নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না? আর অনেক সম্ভাবনা থাকার পরও কক্সবাজার অর্থনৈতিকভাবে তেমন সমৃদ্ধ হয়েছে বলে আমার মনে হয় না। এ ছাড়া স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও দেশের প্রধান পর্যটন নগরীতে তেমন বড় কোনো পরিবর্তন এসেছে বলে মনে করি না। কিছু হোটেল গড়ে ওঠার নাম পর্যটন সমৃদ্ধি নয়। এখানে যেসব পর্যটক আসেন, তার মধ্যে ৯৮ ভাগ দেশীয়। যদি বিদেশি পর্যটক না আসেন, তাহলে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি হবে না। অথচ আমাদের পরে যাত্রা শুরু করেও অনেক সুযোগ-সম্ভাবনা নিয়ে অনেক দেশ আমাদের চেয়ে দশগুণ এগিয়ে গেছে। আর সারা দেশের মোট চাহিদার ৯৯ শতাংশ লবণ কক্সবাজারে উৎপাদন হয়। ১ শতাংশ শুধু বাঁশখালী ও আনোয়ারায় হয়। তবু আমাদের লবণচাষিরা এখনো মর্যাদা নিয়ে জীবনযাপন করতে পারেন না। চিংড়ি নিয়ে আমাদের গৌরবময় ঐতিহ্য ছিল। এখন সেই শিল্প প্রায় মৃত। কক্সবাজারের মহেশখালীর মিষ্টিপান দেশের খ্যাতনামা; কিন্তু সেই পানচাষিদের ভাগ্য ফেরেনি। টেকনাফের সুপারি দেশের মধ্যে বিখ্যাত; কিন্তু রোহিঙ্গাসহ নানা কারণে সেই সুপারি শিল্প আজ ধ্বংসের পথে। বর্তমান সরকার এখানে বেশকিছু উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, যদি সেগুলোর কাজ সঠিকভাবে শেষ হয় তাহলে হয়তো কিছুটা পরিবর্তন হবে। তবে আমাদের দাবি থাকবে, সব উন্নয়ন কাজে কক্সবাজারের স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করতে হবে। তাদের জমি নিয়ে তাদের বুকের ওপর দিয়ে অন্য জেলার মানুষ টাকা আয় করে চলে যাবে, এটা কোনোভাবেই হতে পারে না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads