কক্সবাজারের তারকা হোটেল কক্স টুডের পরিচালক অপারেশন মো. সাখাওয়াত হোসেন দৈনিক বাংলাদেশের খবরকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে বলেছেন, শুধু নামের আগে পর্যটন নগরী থাকলেই কক্সবাজারে পর্যটনের বিকাশ হবে না। এখানে পর্যটকদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। বিশেষ করে বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য সরকারি-বেসরকারিভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। নেপালের আদলে শুধু বিদেশিদের জন্য একটি ক্যাসিনোর ব্যবস্থা করতে হবে, যেখানে শুধু পাসপোর্ট দিয়ে বিদেশিরাই ঢুকতে পারবে, কোনো বাংলাদেশির জন্য নয়। কারণ এখানে সন্ধ্যার পর বিদেশিদের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। তাহলে তিনি কেন শুধু পানি দেখতে কক্সবাজারে আসবেন? আর কক্সবাজার শহরে একটি সুরক্ষিত জোন থাকবে, যেখানে বিদেশিদের জন্য সবকিছু থাকবে। এমনকি বিশেষ গাড়ির ব্যবস্থা থাকবে, যেসব গাড়ির চালকের আলাদা পরিচয়পত্র থাকবে, প্রয়োজনে তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা হোটেল কক্স টুডে করবে। তিনি বলেন, এখন দেশের মানুষের টাকা দেশের মানুষের পকেটে আসছে। বিদেশি কোনো টাকা আমাদের কাছে আসছে না। কিন্তু বিদেশে পর্যটনের বিকাশ হয়েছে অন্য দেশের মানুষকে নিয়ে। আর পর্যটনবান্ধব স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও প্রশাসন হচ্ছে অন্যতম সহায়ক। আমার জানামতে, কক্সবাজারে স্থানীয়দের জন্য গাড়িভাড়া ১০ টাকা হলে পর্যটকদের জন্য সেটা ২০ টাকা। খাবার স্থানীয়দের জন্য ৫০ টাকা হলে পর্যটকদের জন্য ১০০ টাকা। এটা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। একজন পর্যটকের আস্থায় আনতে হবে এখানে সবকিছু তিনি সঠিক দামে এমনকি কম দামে পাবেন। ছোট একটি দেশ মরিশাসের কথা সবাই জানেন। এই দ্বীপসমৃদ্ধ দেশটির কোনো আয় নেই একমাত্র পর্যটন ছাড়া। তারা পর্যটকদের দেবতা হিসেবে গণ্য করে। সেভাবেই তারা পর্যটকদের আতিথেয়ত দেয়। ফলে দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা এখন অনেক উন্নত। সবশেষে আমি বলতে চাই, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ওপেন কনসার্টসহ সব ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনে প্রশাসনকে আরো বেশি সহযোগী মনোভাব দেখাতে হবে এবং খুব কম সময়ে অনুমতি দিলে মানুষ বড় বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠান বা অনেক নামিদামি প্রতিষ্ঠান এখানে আসবে। আমার পরিচিত অনেকে আছেন, যারা অনুমতির হয়রানির জন্য কক্সবাজারে আসেন না। সর্বোপরি আমি বলতে চাই, কক্সবাজারে এখনো অনেক কিছু করা সম্ভব, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।