জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর গত ১০ বছরে আয় ও সম্পদ বেড়েছে কয়েকগুণ। পাশাপাশি তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণও বেড়েছে। হলফনামা অনুযায়ী কুষ্টিয়ার এই হেভিওয়েট প্রার্থীর নিজের নামে কোনো বাড়ি নেই। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা রিটার্নিং কার্যালয় ও সহকারী রিটার্নিং কার্যালয়ে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।
কুষ্টিয়া-২ (ভেড়ামারা-মিরপুর) আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে হলফনামায় হাসানুল হক ইনু উল্লেখ করেন, তার পেশা রাজনৈতিক কর্মী ও প্রকৌশলী। তার আয়ের বড় অংশ আসে ব্যবসা, বেতনভাতা, ব্যাংকের লভ্যাংশ ও টিভি টকশো থেকে। ইনুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শম কম্পিউটার্স লিমিটেড থেকে বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে ৭ লাখ ৪৪ হাজার ১২৯ টাকা। বেতনভাতা থেকে ইনুর আয় ২৩ লাখ ২৭ হাজার ৫৮০ টাকা। টিভি টকশো ও ব্যাংক সুদ থেকে পান ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৯১৪ টাকা।
বর্তমানে ইনুর নগদ টাকা আছে ৫০ লাখ ৬৬ হাজার ৩৮৬ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমার পরিমাণ ৪৪ লাখ ৫১ হাজার ৪৮০ টাকা। শেয়ার ও পোস্ট অফিস মিলিয়ে আছে ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
ইনুর স্থাবর সম্পদের মধ্যে আছে ১ কোটি ৮১ লাখ ২ হাজার ৩০৯ টাকা মূল্যের তিনটি গাড়ি। তবে নিজের নামে কোনো বাড়ি বা ফ্ল্যাট নেই। রাজধানীর পূর্বাচলে ১০ কাঠার প্লট রয়েছে তার। আসবাবপত্র আছে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকার। সোনা আছে ২৫ ভরি। মামলা আছে দুটি। একটি পল্টন থানায় চলমান। আরেকটি মামলা নিষ্পত্তি হয়ে গেছে।
হলফনামায় ইনুর স্ত্রী আফরোজা হক রিনার আয় ও সম্পদ বাড়লেও আয়ের কোনো উৎস দেখানো হয়নি। গত ১০ বছরে ইনুর স্ত্রীর সম্পদ ও অর্থ দুটোই বেড়েছে। আফরোজা হক রিনার নগদ টাকা আছে ৬০ লাখ ৩ হাজার ২৫৮ টাকা, ব্যাংকে জমা আছে ১৪ লাখ ২৮ হাজার ৬৭৭ টাকা। শেয়ার আছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার। স্ত্রীর একটি অ্যাপার্টমেন্ট আছে, যার মূল্য ৭ লাখ ৪৮ হাজার ১৪৫ টাকা।
এছাড়া ইনুর স্ত্রীর সোনা আছে ১০ ভরি, আসবাবপত্র আছে ৬৫ হাজার টাকার। উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া তিন বিঘা জমি আর ৪ শতাংশ জমির ওপর দোতলা বাড়ি রয়েছে তার।