বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপির আয় ও সম্পদ বেড়েছে কয়েকগুণ। ২০০৮ সালে তার বার্ষিক আয় ছিল ৩ লাখ ২৮ হাজার ৯১ টাকা। ২০১৮ সালে তা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৫০০ টাকায়। নির্বাচন দফতরে দাখিলকৃত হলফনামায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
ফজলে হোসেন বাদশা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-২ (সদর) আসনের মহাজোটের প্রার্থী। এর আগে ২০০৮ সালে নৌকা প্রতীকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৩ সালের নির্বাচনেও নৌকার প্রার্থী হয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
নির্বাচনে দাখিলকৃত হলফনামা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০০৮ সালে ফজলে হোসেন বাদশার বার্ষিক আয় ছিল ৩ লাখ ২৮ হাজার ৯১ টাকা। এরপর ২০১৩ সালে গিয়ে দাঁড়ায় ছয় লাখ ২৪ হাজার ৭৭২ টাকায়। সর্বশেষ ২০০১৮ সালে তার বার্ষিক আয় ৭ লাখ ৫০০ টাকা।
২০০৮ সালে তার নিজের কাছে নগদ টাকা ছিল ১৫ হাজার। আর ব্যাংকে জমানো ছিল ৮ লাখ ৩৩ হাজার ৪৬০ টাকা। ২০১৩ সালে নগদ টাকার পরিমান দাঁড়ায় ১০ লাখ ২০ হাজার ৫৯১। এ ছাড়া ব্যাংকে জমা ছিল ২৬ লাখ ৬৬ হাজার ৬০২ টাকা। ২০১৮ সালে নগদ রয়েছে ১৫ লাখ ১৮ হাজার ৬৮৬ টাকা। আর ব্যাংকে জমানো রয়েছে আরো ২৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮০০ টাকা।
২০০৮ ও ২০১৩ সালে স্ত্রীর কাছে নগদ টাকা নেই দেখালেও ২০১৮ সালে ৪০ হাজার টাকা দেখিয়েছেন বাদশা। এ ছাড়া স্ত্রী তাসলিমা খাতুনের নামে ৮ লাখ টাকার পোস্টাল সেভিংসও দেখিয়েছেন তিনি।
২০০৮ সালে ফজলে হোসেন বাদশা চড়তেন ৫ লাখ ৫২ হাজার টাকা মূল্যের ১৩৩১ সিসি প্রাইভেট কারে। ২০১৩ সালে তার মোটরগাড়ির মূল্য দাঁড়ায় ১৮ লাখ ৬৭ হাজার ৮৩০ টাকায়। আর এখন ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের টয়োটা করলা জিপ এবং ৩৮ লাখ টাকা মূল্যের প্রাডো গাড়িতে চড়েন বাদশা।
এ ছাড়া ২০১৩ সালে রাজধানীর উত্তরায় ৩৫ লাখ ২৭ হাজার ৭৩৬ টাকা মূল্যের ৫ কাঠা অকৃষি জমি নিজের নামে দেখান বাদশা। ২০১৮ সালে এর সঙ্গে যুক্ত হয় উত্তরায় তৃতীয় প্রকল্পে ৩৫ লাখ ২৭ হাজার টাকার ৫ কাঠা প্লট এবং নগরীর হড়গ্রাম বাজারের খন্দকার মার্কেট কমপ্লেক্সে ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ। তার স্ত্রীর নামে বরাবরই ৫ কাঠা অকৃষি জমি দেখিয়ে আসছেন বাদশা।