ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে যশোর কালেক্টরেটের নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ব্রিটিশ ভারতের প্রথম জেলা যশোরে কালেক্টরেট স্থাপিত হয় ১৭৮৬ সালে। ১৭৮১ সালে জেলা ঘোষণার পর প্রথম জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেন টিলম্যান হেঙ্কেল (১৭৮১-১৭৮৯)। যশোর কালেক্টরেটের নিজস্ব ভবন নির্মাণ করা হয় ১৮০১ সালে। সব সাইডে লাল দরজার এই বিল্ডিংটি শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানায় অবস্থিত। বাংলা সাহিত্যের মহাকবি নবীন চন্দ্র সেন যশোর কালেক্টরেটে ১৮৬৯ সালের ২৪ জুলাই ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এবং ডেপুটি কালেক্টর পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমান ভবনের একতলা ভবন নির্মাণ হয় ১৮৮৫ সালে। তখনকার সময়ে নির্মাণকাজে ব্যয় হয়েছিল ২ লাখ ৬৩ হাজার ৬৭৯ টাকা। বাংলায় দীর্ঘতম এই ভবনটি ছিল সে সময়ে দর্শনীয় এবং তা ৩৬০ দরজার ঘর নামে সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত ছিল দীর্ঘকাল। মূল কাঠামো ও সৌষ্ঠব বজায় রেখে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দ্বিতীয় তলা নির্মাণ করেন। এটি শহরের প্রাচীনতম স্থাপনাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি। এই ভবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ২০০ বছরের ইতিকথা। এ ছাড়া উপমহাদেশের প্রথম কালেক্টরেট ভবন স্থাপত্য নিদর্শনের একটি উজ্জ্বল ঐতিহ্য। ১৮৯৫ সালে সাতক্ষীরা হাউজ নামে পরিচিত এ ভবন কালেক্টরের বাসভবন হিসেবে ব্যবহার শুরু হয়। ২৪ দশমিক ৭৫ একর জমিতে স্থাপিত বিশাল ডিসি বাংলো বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ডিসি বাংলো। ভারত সম্রাট ১৯২১ সাল থেকে দুই দফায় ২৫ বছরের জন্য এই জমি লিজ নেন যা পরবর্তী সময়ে কোম্পানি খরিদ সূত্রে ব্যাংক অব ক্যালকাটা অধিগ্রহণ করে।