প্রায় প্রতিটি আসনেই একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ছাড়া প্রায় প্রতিটি সংসদীয় আসনে আমরা দুই জনকে মনোনয়নের চিঠি দিচ্ছি। যাতে কোনও কারণে একজনের প্রার্থীতা বাতিল হয়ে গেলে অন্যজন নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সুযোগ পান।’
আজ সোমবার বেলা ৩টায় গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি। অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার, খুন, গুম করা হয়েছে। এমন একটা পরিস্থিতিতে নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হওয়ার অবকাশ নেই। তারপরও আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি শুধু একটি কারণে, সেটি হচ্ছে নির্বাচনের মাধ্যমে একটি আন্দোলন সৃষ্টি করে খালেদ জিয়াকে মুক্ত করবো।’
তিনি বলেন, ‘সরকার ও নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত দেশে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণভাবে পক্ষপাতদুষ্টু হয়ে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখছে। প্রশাসনে রদবদলের কথা বলেছিলাম। কিন্তু তারা তা করেনি।’
নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যে নিরপেক্ষ নয়, তার প্রমাণ হলো প্রধান নির্বাচন কমিশন কে এম নূরুল হুদার ভাগ্নে এস এম শাহজাদা সাজু পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। নিরপেক্ষতা নিয়ে আমাদের মনে যে সন্দেহ তা দূর করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। তারপরও আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি।’