টেকনাফ পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে ৩ রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছে। আজ শনিবার প্রথম প্রহর দেড় টার সময় হ্নীলা নয়াপাড়া হাবিবের পাহাড় নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান করতে গিয়ে আহত হয় পুলিশের ২ সদস্যও। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৪ টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র ও গুলি।
জানা যায়, শনিবার ভোর রাত দেড়টারদিকে উপজেলার নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের এইচ ব্লক সংলগ্ন এলাকায় পুলিশ আটককৃতদের নিয়ে হাবিবের পাহাড়ে অস্ত্র উদ্ধারে গেলে রোহিঙ্গা দূর্বৃত্তরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এতে পুলিশের এসআই স্বপন, কনস্টেবল মেহেদী হাসান আহত হয়। পুলিশও আত্বরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে। এক পর্যায়ে রোহিঙ্গা দূর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এলে ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তারা হচ্ছে হ্নীলা নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের বি-ব্লকের (এমআরসি নং-৬১৩২৫, শেড নং-১০১৪, রোম নং-৫ ) বাসিন্দা আমির হোছনের পুত্র নুরুল আলম (২৩), এইচ ব্লকের (এমআরসি নং-০৫০৪৭, শেড নং-৬০৪১, রোম নং-৪ ) বাসিন্দা ইউনুছের পুত্র মোঃ জুবাইর (২০) এবং একই ব্লকের (এমআরসি নং-১১৭৬১, ৬২৬নং শেডের রোম নং-৯ ) ইমাম হোসেনের পুত্র হামিদ উল্লাহ (২০)। এ ছাড়া ঘটনাস্থল তল্লাশী করে দেশীয় তৈরী ৪টি এলজি, ৭ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
এদিকে উদ্ধার হওয়া গুলিবিদ্ধদের তাদের চিকিৎসার জন্য প্রথমে টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার নেওয়ার নেওয়ার পথেই তারা মারা যান। লাশ গুলোর ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ।
তিনি বলেন, এই অভিযানে অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা দূর্বৃত্তদের হামলায় দুই পুলিশ আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল হতে ৪টি অস্ত্র ও ৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। উক্ত ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান ওসি প্রদীপ কুমার দাস।





