কড়া নাড়ছে ফেব্রুয়ারি ক’দিন পরেই বইমেলা

কড়া নাড়ছে ফেব্রুয়ারি ক’দিন পরেই বইমেলা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

জাতীয়

কড়া নাড়ছে ফেব্রুয়ারি ক’দিন পরেই বইমেলা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৬ জানুয়ারি, ২০১৯

ভাষার মাসে বাঙালির প্রাণের উৎসব হলো একুশে বইমেলা। দুয়ারে কড়া নাড়ছে প্রাণের এই উৎসব। সারা বছর এই মেলার অপেক্ষায় থাকেন লেখক ও প্রকাশকরা। এই মেলা পরিণত হয় মানুষের মিলনমেলায়। আমাদের বইমেলা জাতিসত্তা প্রকাশের আরেক অনন্য মাধ্যম হয়ে উঠছে। মেলায় এসে নতুন বই হাতে নিয়ে ভেজা মলাটের ঘ্রাণ শুঁকতে শুঁকতে বাড়ি ফেরেন বইপাগল মানুষ।

একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস থেকেই শুরু হয় আমাদের গর্বের এই বইমেলা। ১৯৭২ সালে মুক্তধারার প্রতিষ্ঠাতা চিত্তরঞ্জন সাহা বাংলা একাডেমির বর্ধমান হাউজের সামনে চট বিছিয়ে কয়েকটি বই নিয়ে শুরু করেছিলেন গর্বের এই যাত্রা। পরের বছরগুলোতে তার সঙ্গে যোগ দেন আরো কয়েকজন প্রকাশক। ১৯৮৪ সালে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায় এই মেলা। তখন থেকেই বাংলা একাডেমির তত্ত্বাবধানে আয়োজিত হয়ে আসছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা, যা এখনো অব্যাহত আছে।

প্রতিবছর বইমেলাকে কেন্দ্র্র করে বইবাজার খ্যাত বাংলাবাজার ও আরামবাগে চলছে কর্মযজ্ঞ। দম ফেলার সময় নেই শ্রমিকদের। দিন-রাত কাজ করে বইকে পাঠকের হাতে পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। ছাপাখানার কর্মীরা জানান, ব্যস্ততা বেড়েছে জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে, যা ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে চলবে। বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতি জানিয়েছে, ফকিরাপুল, পুরানা পল্টন, নয়াপল্টন, বাংলাবাজার, সূত্রাপুর, গোপীবাগ, আরামবাগ, নীলক্ষেত ও কাঁটাবনে চলছে বইমেলার কাজ। এসব এলাকায় প্রেসের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ৭০০টি। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি এই সময়টায় দ্বিগুণ কাজ হয়ে থাকে। এবারো ব্যতিক্রম হয়নি।’

সমিতি আরো জানিয়েছে, ‘প্রকাশনার সংখ্যার চেয়ে মনের দিকেই প্রকাশকদের নজর বেশি। কাগজের মূল্য বৃদ্ধিটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনতে পারলে বইয়ের দামও কমে আসবে। পাঠকদের জন্য ভালো বই কিনতে সহায়ক হবে।’ এক প্রকাশক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মেলাকে ঘিরে করপোরেট সংস্কৃতির অশুভ চর্চা লক্ষ করা যায়। এ ছাড়া ই-বুক, ব্লগও ছাপা বইয়ের চাহিদার ওপর প্রভাব ফেলছে।

অন্যদিকে এবার মেলার পরিসর বাড়ছে বলে সংবাদ এসেছে বিভিন্ন মাধ্যমে। এর অর্থ হচ্ছে, মেলায় অংশহণকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বাড়ছে। এটি নিশ্চয়ই আনন্দের সংবাদ।

বইমেলাকে কেন্দ্র করে বাইরের সৌন্দর্যের দিকেও দৃষ্টি আছে বলে জানান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী। তিনি বলেন, এবার লেখকমঞ্চ নামে মেলায় প্রথমবারের মতো ৫ জন লেখক তার বই নিয়ে কথা বলতে পারবেন। ৪৫০টি প্রকাশনী সংস্থা এবং নতুন ১৯টি প্রকাশনা সংস্থাকেও এবার মেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।’

বইমেলার নিরাপত্তায় র্যাব-পুলিশের কড়া নজরদারির পাশাপাশি পুরো এলাকা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতায় থাকবে। কোনো চক্রান্তই বইমেলা আয়োজনে বাধা হতে পারবে না বলে জানিয়েছেন প্রকাশকরা। এবার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদানের পরিকল্পনা রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। বইমেলার ভেতরে ও বাইরে সাদা পোশাকে ও ইউনিফর্মে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ থাকবে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে পুলিশের ফুট ও মোটরসাইকেল প্যাট্রোলিং চলবে অনবরত। এ ছাড়া নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য থাকবে ওয়াচ টাওয়ার, ফায়ার টেন্ডার ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা। মেলার আশপাশ থাকবে হকারমুক্ত। প্রবেশ ও বাইরের জন্য থাকবে আলাদা গেট।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads