আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৪ পুলিশসহ আহত ২০

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৪ পুলিশসহ আহত ২০

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৪ পুলিশসহ আহত ২০

# পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৮০ রাউন্ড গুলি # অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন # পুরুষ শুণ্য গ্রাম

  • চাঁদপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৬ জানুয়ারি, ২০১৯

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে আধিপত্যকে বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষ্যের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষে অন্তত ১৬ গ্রামবাসী আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ৮০ রাউন্ড গুলি ছুড়ে, এ সময় পুলিশের ৪ সদস্য গুরুত্বর আহত হয়। এলাকায় এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে ইউপি সদস্য বাবুল মিয়ার মামাতো ভাই আলীর বৌভাত অনুষ্ঠানে রাজ্জাক প্রধান গংদের সাথে বাবুল মেম্বারের লোকজনের সাথে কথাকাটি হয়। এরই সূত্রধরে রাজ্জাক প্রধানের নেতৃত্বে কাইল্লা, নুরু, কালু, বাবলু গংরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী লাঠি, সোটা, সাবল নিয়ে বারেক বেপারী, আহাম্মদ হোসেন, জালাল বেপারী, দুলাল বেপারী, শহিদ, মোহাম্মদ হোসেন, আক্তার হোসেনের বসত ঘরে হামলা করে ভাংচুর করে।

খবর পেয়ে বাবুল মেম্বারের লোকজন পাল্টা আক্রমন করার চেষ্টা করলে জাহাঙ্গীর বেপারী, দুলাল বেপারী, শুক্কুর আলী, আক্তার হোসেন, আনোয়ার, মফিজুল ইসলাম’সহ ১৬জন আহত হয়। আহতদের ছেংগারচর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’সহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

খবর পেয়ে মতলব উত্তর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই গোলাম মোস্তফা, এসআই জসিম-১, এসআই জসিম-২ এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে উভয়পক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা করার একপর্যায়ে রাজ্জাক প্রধানের লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে এসআই জসিম-১, এএসআই আফজাল, কনস্টেবল জহির’সহ ৪জন আহত হয়। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ৮০ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এতে কেউ হতাহত হয়নি বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

ইউপি সদস্য বাবুল মিয়া বলেন, আমরা জুম্মার নামাজে ছিলাম, এমতাবস্থায় রাজ্জাক প্রধানের নেতৃত্বে তার লোকজন অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১০/১২টি বসতঘর, আসবাবপত্র ভাঙচুর করে, ঘরে থাকা স্বর্ণালঙ্কার, নগদ অর্থ লুটপাট করাসহ নারী-পুরুষের উপর হামলা করে গুরুত্বর আহত করে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এ ব্যাপারে রাজ্জাক প্রধানের সাথে মুঠোফোনে তথ্য নেয়ার জন্য কয়েক দফা চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) রাজন কুমার দাস, মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কবির হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার নির্দেশ প্রদান করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads