আপডেট : ০৮ June ২০২৪
নওগাঁ প্রতিনিধি: চলছে নদী দখলের প্রতিযোগিতা। নওগাঁয় নদী দখলে নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করতে পারে এ নিয়েই রফাদফা। কেউ নদীর বাঁধে, কেউ নদীর জেগে উঠা চরে গড়ে তুলছেন মিল-কারখানাসহ সুরম্য ভবন। দখলকারীদের এমন প্রতিযোগিতা প্রকাশ্যে চলতে থাকলেও নীরবে-নিভৃতে রয়েছে প্রশাসন। দখলের ফলে অবশ্য কারো কিছু না হলেও চড়া মূল্য দিতে হবে জনপদ বাসীকে। নদী দখল করে সুরম্য ভবন নির্মাণে চলছে প্রতিযোগিতা, নির্বিকার নওগাঁর প্রশাসন। নওগাঁ শহরের বুক চিরে বয়ে গেছে যমুনা নদী। এক সময় নদীর উত্তাল জল তরঙ্গ ভেদ করে বড় বড় নৌকায় ব্যবসা বাণিজ্যের রসদ সরবরাহ হতো। কিন্তু এ নদী এখন রীতিমতো সরু খাল। নদীর জমি দখল করে দুপাশে গড়ে তোলা হচ্ছে মিল-চাতাল থেকে শুরু করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বড় বড় সুরম্য ভবন। নদী দখলের এ প্রক্রিয়া এগিয়ে রয়েছে ডিগ্রির মোড়,আলু পট্রি, সুলতানপুর, কালিতলা এলাকা। সম্প্রতি ডিগ্রির মোড়ে সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি নদীর তলদেশে আর সিসি পিলার দিয়ে দ্বিতল ভবন গড়ে তোলেন। স্থানীয় এ বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসনকে অবহিত করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানায়, প্রশাসনের লোকজন এসে দেখার পর কয়েকদিন কাজ বন্ধ ছিল। কিন্ত রহস্যজনক কারণে আবারো চলছে ভবন নির্মাণের কাজ। এরপর থেকে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সাইফুলসহ একাধিক ব্যক্তি। এদিকে সুলতান পুর মহল্লায় বেশ কয়েকটি মিল-চাতাল গড়ে তোলা হয়েছে নদীর সীমানার মধ্যেই। প্রশাসনের কোনো নজরদারী না থাকায় এ নদী তার অস্তিত্ব হারাবে বলে মনে করছে বিশিষ্ট জনরা। নদী সংরক্ষণ কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মোজাহার হোসেন বলেন, যে ভাবে নদী দখল করা হচ্ছে তা যদি এখনই লাগাম টেনে না ধরা হয় তা হলে ছোট যমুনা নদী একসময় যে এখানে ছিল অবস্থা দেখে আর কেউ জানতেও পারবে না। জীবন-জীবিকার রসদ হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে ফুলে-ফেঁপে উঠছে দখলকারীরা। এভাবে চলতে দেয়া যায় না। নদী রক্ষায় সবাই কেমন যেন নির্বিকার। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন নদী রক্ষায় সামাজিক সচেতনতার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হলেও প্রশাসনের নড়বড়ে ভূমিকায় চলছে লাগামহীন নদী দখল ও দূষণ। দিনের আলোতেই প্রভাবশালীরা বিরামহীন নদী দখলের উৎসব চালালেও নজরে আসছে না সংশ্লিষ্ট দফতরের। আর এসব অনিয়ম দৃষ্টিতে আনার পরও দায়সারা উত্তর পানি উন্নয়ন বোর্ডের। নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফয়জুর রহমান বলেন, আমাদের দেখিয়ে দিন ভবন নির্মাণ যে অবৈধ, তাহলে আমরা তা ভেঙে দিবো। জেলার বুক চিরে ছোট-বড় ১২ টি নদী প্রবাহিত। তবে দখল আর নাব্যতা হারিয়ে ইতিমধ্যে পাঁচটি নদী অস্তিত্ব হারিয়েছে, যা রয়েছে শুধু কাগজে। বাস্তব এমন চিত্র নেই।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১