আপডেট : ০৬ April ২০২৪
চলছে পবিত্র রমজান মাস, এর মধ্যে আবার তাপে পুড়ছে পুরো দেশ। এই গরমের মধ্যে সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থেকে ইফতারের সময় তাই কমবেশি সবাই তৃপ্তি মেটাচ্ছেন ঠান্ডা পানি পান করে। সারাদিনের পর ঠান্ডা পানি পানের যেন মেলে আসল শান্তি। স্বস্তিতে বুজে আসে চোখ। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, কাজটি শরীরের জন্য একদমই ভালো নয়। দীর্ঘক্ষণ রোজা রাখার পর ঠান্ডা পানি পান করলে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। বিশেষ করে যারা রোদ থেকে ফিরে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান করছেন তারা বেশ কিছু সমস্যায় পড়তে পারেন। চলুন জেনে নিই বিস্তারিত- অত্যধিক ঠান্ডা পানি পানের অভ্যাস মাইগ্রেনের কারণ হতে পারে। যাদের আগে থেকেই এই সমস্যা রয়েছে তারা ইফতারে রোজা খুলেই ঠান্ডা পানি পান করবেন না। এতে মাথাব্যথা হঠাৎ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। গলাব্যথা রোদ থেকে ঘেমেনেয়ে ফিরে কনকনে ঠান্ডা জল খাওয়ার অভ্যাসে বেড়ে যেতে পারে থাইরক্সিন হরমোনের মাত্রা। ফলে থাইরয়েড হওয়ার আশঙ্কা একেবারে ফেলে দেওয়া যাবে না। এমনকি টনসিল গ্রন্থি ফুলে গলা ব্যথার সমস্যাতেও ভুগতে হতে পারে। ক্লান্তি অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করলে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবারের মতো স্বাস্থ্যকর উপাদানগুলোর ক্ষয় ঘটতে পারে। ফলে শরীর ভিতর থেকে দুর্বল হয়ে পড়ে। এমনি সারাদিন না খেয়ে থাকার পর ইফতার শেষে মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ঠান্ডা পানি পান করলে এই ক্লান্তির পরিমাণ আরও বাড়বে। তাই ইফতারে বিশেষ করে রোদ থেকে ফিরে ঠান্ডা পানি পানের অভ্যাস একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়।
মাইগ্রেন
একটি মানুষের শরীরে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পানি থাকে। পানির ঘাটতি হলে এটি কোষ ও টিস্যুতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, তাই ইফতারের পর সেহরির সময় পর্যন্ত শূন্যস্থান পূরণ করা প্রয়োজন। শরীরে পানির অভাবও অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করে, যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, ক্লান্তি এবং শুষ্ক ও ফাটা ত্বক। ঝুঁকি কিডনিতে সমস্যা এবং খিঁচুনি এর মতো জটিলতার পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। সূত্র: ওমান অবজারভার
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১