বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ১২ September ২০২৩

চিনি, ফিটকারী ও ক্ষতিকর পদার্থ মিশিয়ে তৈরি হয় সুন্দরবনের খাঁটি মধু


তিতাস চক্রবতী, খুলনা প্রতিনিধি:

চিনি, ফিটকারী ও ক্ষতিকর পদার্থ মিশিয়ে খুলনার একটি বাড়িতেই তৈরি হয় সুন্দরবনের খাঁটি মধু। এরপর সরবরাহ করা হয় দেশের বিভিন্ন জেলায়। সোমবার ১০৫ কেজি ভেজাল মধুসহ দুইজনকে আটকের পর তারা পুলিশের কাছে এসব তথ্য দিয়েছে। আটকদ্বয় হল-সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরের মাথুরাপুর এলাকার মো. আশরাফুল ইসলাম রিপন (৩৪) ও একই উপজেলার বাদঘাটা এলাকার শেখ শাহরিয়ার মাসুদ (৩৮)। জব্দ করা হয় ভেজাল মধু তৈরির কারখানা।

সূত্রগুলি জানায়, সুন্দরবনের খাঁটি মধুর জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে খুলনা, মোংলা, সাতক্ষীরাসহ আশপাশের এলাকায় সুন্দরবনের খাঁটি মধুর নামে চলছে ভেজাল মধুর ব্যবসা। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী চক্র অতি মুনাফার আশায় সুন্দরবন থেকে সংগৃহীত মধুতে ভেজাল দিয়ে বাজারে তা উচ্চ দামে বিক্রি করছে। ভেজাল মধু শনাক্ত করার সাধারণত কোনো উপায় না থাকায় দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ ক্রেতা সাধারণ তা কিনে প্রতারিত হচ্ছেন। তেমনি দীর্ঘদিন যাবত আটককৃতরা খুলনায় ভেজাল মধু তৈরি করে মানুষের সাঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল।

খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মো. নুরুজ্জামান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খুলনা ডিবি পুলিশের একটি দল আড়ংঘাটা থানাধীন সিটি বাইপাস সড়কের আকমানের মোড় নামক এলাকার একটি কারখানায় নকল ও কথিত মধু (ভেজাল মধু) উৎপাদিত হচ্ছে বলে জানতে পারে। পরে সোমবার বিকেলে ওই এলাকার বাইতুস শরিফ জামে মসজিদের পূর্ব পাশে জনৈক অপু সাহেবের অভিযান চালিয়ে ১০৫ কেজি ভেজাল মধু এবং ভেজাল মধু তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

ভেজাল মধু তৈরির সরঞ্জামের মধ্যে ছিল- রক্ষিত ১০ কেজি চিনি সিরা, একটি হলুদ রঙের প্লাস্টিকের তৈরি ড্রামে, ফ্রেশ ২ লিটারের পানির বোতলে রক্ষিত জ্বালানো মধু, যাহা রং হিসেবে মধু তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। সাদা প্লাস্টিকের কৌটায় রক্ষিত ফিটকিরি চূর্ণ, একটি প্লাষ্টিকের পানির জার, একটি নীল রঙের প্লাস্টিকের অর্ধেক ড্রাম, একটি সাদা প্লাষ্টিকের বস্তায় রক্ষিত ১২ কেজি চিনি, যা মধু রাখার কাজে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া ১৪টি প্লাস্টিকের তৈরি নীল কর্কযুক্ত সাদা রঙের বোতল, কাঁচের তৈরি বোয়েম ১২টি, একটি এক বার্নার বিশিষ্ট গ্যাসের চুলা, একটি গ্যাস সিলিন্ডার, একটি ডিজিটাল পরিমাপক যন্ত্র, সাদা রঙের প্লাস্টিকের তৈরি ছোট কৌটা ২৪টি, সাদা কর্কযুক্ত প্লাস্টিকের ছোট বোতল ৩৬টি, একটি সবুজ রঙের প্লাস্টিকের তৈরি কর্ক (মধু ঢালার পাত্র) এবং কালো জিরা ফুলের মধু লেখা স্টিকার ৫টি।

এ ঘটনায় মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপ-পুশি কমিশনার মোঃ নুরুজ্জামান।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১