আপডেট : ১২ January ২০২২
আর মাত্র কয়েকদিন বাকি থাকলেও জমে উঠেনি টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের উপ-নির্বাচনের প্রচারণা। সবার দৃষ্টি এখন রাজনৈতিক ৪ দল ও এক স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট ৫ জনের দিকে। ইউপি নির্বাচনের পর পরই নির্বাচনী পালে জোরেশোরেই হাওয়া লাগার কথা থাকলেও তা এখন পর্যন্ত হয়ে উঠেনি। এই আসনে আ.লীগসহ আরো ৩ দল অংশ নিলেও অংশ নেয়নি বিএনপি। তাই আ.লীগ ও জাতীয় পার্টির দুই সংসদ সদস্য প্রার্থী এখন জনগণের মুখে আলোচনার শীর্ষে। অন্যদিকে কংগ্রেস, ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থীসহ তাদের কর্মী-সমর্থকেরাও ভোটারদের মন জয় করার নানা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিন প্রার্থীকে প্রচারে তেমন অংশ নিতে না দেখা গেলেও নির্বাচনী এলাকায় তাদের ব্যানার-ফেস্টুন লক্ষ্য করা গেছে। তবে সাধারণ ভোটাররা দল নয়, ব্যক্তির ইমেজকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন। মির্জাপুর উপজেলার আনাইতারা ইউনিয়নের আটিয়ামামুদপুর গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, দল দেখে নয় এবার ভোট দেব প্রার্থী দেখে। দল দেখে ভোট দিলে মির্জাপুর উপজেলায় যেমন উন্নয়ন হওয়ার কথা তা হয়তো হবে না একইভাবে যোগ্য প্রার্থীও নির্বাচিত হবেন না। পৌরসদরের পাহাড়পুর গ্রামের বাসিন্দা লেবু মিয়া বলেন, যে প্রার্থী জনগণের জন্য নিরাপদ, যিনি নির্বাচিত হলে মির্জাপুরের উন্নয়ন হবে তাকেই আমরা ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবো। জানতে চাইলে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জহির বলেন, আমি প্রতিদিনি সারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরছি। দেখলাম মানুষের মাঝে ব্যাপক একটি জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে লাঙ্গলের প্রতি। আ.লীগের প্রতি অনাস্থা, অনাচার-অত্যাচার, নির্যাতন সবকিছু মিলিয়ে মানুষ এখন নতুন দল চায়। তিনি বলেন, আমি নির্বাচিত হতে পারলে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করবো। তবে তিনি সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। উপজেলা নির্বাচন ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শরিফা বেগম বলেন, এ উপজেলায় এবারই প্রথম ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ১২১টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারদের ৪ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আশা করছি সকলকে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারবো। প্রসঙ্গত, এ নির্বাচনে আ.লীগ মনোনীত খান আহমেদ শুভ ও জাতীয় পার্টি মনোনীত জহিরুল ইসলাম জহির ছাড়াও ওয়ার্কার্স পার্টির গোলাম নওজব চৌধুরী পাওয়ার, কংগ্রেস পার্টির রূপা রায় চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম নুরু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কি বিবেচনা করে ভোটাররা এমপি নির্বাচিত করবেন তা দেখতে হলে অপেক্ষা করতে হবে নির্বাচনের দিন অবধি। তবে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারবেন এমন যোগ্য কাউকেই বেছে নিবেন জনগণ। ১৯৮২ সালে বাংলাদেশের সর্বপ্রথম উপজেলা হিসেবে উন্নীত হওয়া একটি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ উপজেলায় মোট ভোটার ৩ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৯। এর মধ্যে নারী ১ লাখ ৬৯ হাজার ৮৭৭ ও পুরুষ ১ লাখ ৭০ হাজার ৫০১ জন।
সরেজমিনে দেখা গেছে আ.লীগের প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীসহ তাদের কর্মী-সমর্থকেরা মাঠে-ঘাটে হাটে বাজারে, বিভিন্ন নির্বাচনী জনসভা, পথসভা করে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে মন জয়ের চেষ্টা করছেন, তবে এখন পর্যন্ত ভোটের মাঠ জমে উঠেনি। সাধারণ ভোটাররা বলছেন আগের মতো আর নির্বাচনের আমেজ নেই। এদিকে এই আসনে প্রথমবার ইভিএম’এ ভোটগ্রহণ নিয়ে জনমনে উৎসাহ ও সংশয় উভয়ই লক্ষ্য করা গেছে। তবে, ইসি কর্মকর্তারা স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দিতে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী খান আহমেদ শুভ বলেন, জনগণের কাছে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। তারা যোগ্য প্রার্থীকেই বেছে নিবেন আশা করছি। নির্বাচিত হলে সকল ত্যাগী-বঞ্চিত নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে এলাকার উন্নয়ন করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন। নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী বলে ব্যক্ত করেন।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১