আপডেট : ০৫ April ২০২১
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পটুয়াখালীতে তরমুজ চাষে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে এই তরমুজ। তরমুজ বিক্রি করে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় তাদের মুখে এবার হাসি ফুটেছে। বেলে-দোআঁশ মাটি তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় পটুয়াখালী, গলাচিপা, দশমিনা, কলাপাড়া, মহিপুর, কুয়াকাটা ও রাঙ্গাবালীতে তরমুজ চাষ ভালো হয়। মৌসুমি এই ফল নিয়ে তাই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা। প্রকারভেদে জাম্বু জাগুয়ার, বিগ ফ্যামিলি, সুইট ড্রাগন, সুগার বেবি ও ব্লাক ডায়মন্ড নামে পাঁচ ধরনের তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। এরমধ্যে কালচে রংয়ের জাম্বু জাগুয়ার তরমুজ স্বাদে অতুলনীয়। আকারভেদে প্রতিটি তরমুজ ১০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে এবং বৈশাখের প্রথম দিকে পটুয়াখালীর বিভিন্ন হাট-বাজারে উঠে এই মৌসুমি ফল তরমুজ। এ বছর পটুয়াখালীতে প্রায় চৌদ্দ হাজার দুইশত ছত্রিশ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ করা হয়। ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় উপকূলের কৃষকদের মধ্যে তরমুজ চাষে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে। তরমুজ চাষি মো. চুন্নু মিয়া জানান, তিন মাস আগে তিন একর জমিতে তিনি তরমুজ চাষ করেছেন। যথাসময়ে ক্ষেতে সার প্রয়োগ করেছেন। এছাড়া আবহাওয়াও ভালো থাকায় সবদিক মিলিয়ে তরমুজের এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে এক লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন তিনি। তিনি এবার লাভবান হতে পারবেন বলে আশা করছেন। আরেক তরমুজ চাষি মারুফ মিয়া বলেন, গতবার এক বিঘা জমিতে তিনি তরমুজ চাষ করেছিলাম। আর এবার করেছি সাড়ে তিন বিঘা জমিতে। অতিবৃষ্টি বা শীল না পরায় এবার ফলন ভালো হয়েছে। বিক্রিও হচ্ছে ভালো দামে। জেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.কে.এম. মহিউদ্দিন বলেন, এবার তরমুজের ভালো ফলন হয়েছে। তরমুজ বাম্পার ফলনে ও ভালো বাজার দর পাওয়ার জন্য পটুয়াখালী কৃষি বিভাগ যথাযথভাবে এবং সঠিক সময়ে চাষিদের আমরা পরামর্শ দিয়েছি এবং তাদের মাঝে কম খরচে সার বীজ ও বালাইনাশক পৌঁছে দিয়েছি।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১