জেলার চিরিরবন্দর উপজেলায় নতুন লোহার খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি) খনির সন্ধান করছে। এরই মধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে কূপ খননের কাজে নেমেছে একটি অনুসন্ধানী দল। প্রথম তিন মাস কূপ খনন করে চালানো হবে খনিজসম্পদ অনুসন্ধানের কাজ। অনুসন্ধানের শেষ মুহূর্তে প্রস্তুতি চলছে। বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি) খনির অবস্থান চিহ্নিত করেছে উপজেলার ১০ নং পুনট্রি ইউনিয়নের কেশবপুর মৌজা। নতুন খনিতে লোহার কাঁচামাল আকারের পুরুত্ব অনেক বেশি। তাই লোহার সঙ্গে তামাসহ অন্য খনিজ মূল্যবান সম্পদ পাওয়ার আশা করছেন অনুসন্ধানী দল। প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ নিয়ে আসা হচ্ছে কেশবপুরে। সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। আগামী এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে কূপ খননের কাজ উদ্বোধনের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের (জিএসবি) মহাপরিচালক ড. মো. শের আলী এই কূপ খননের কাজের উদ্বোধন করবেন।

এ বিষয়ে ১০ নং পুনট্রি ইউপি চেয়ারম্যানমো. নূর-এ-কামাল জানান, বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের (ভূতত্ত্ব) পরিচালক আবদুল আজিজ পাটোয়ারী স্বাক্ষরিত জেলা প্রশাসককে দেওয়া একটি চিঠির অনুলিপি পেয়েছেন তিনি। চিঠিতে কেশবপুর এলাকায় জি ডি এইচ কূপ খনন কার্যক্রমে বহিরাঙ্গনে অবস্থানকালীন কর্মকর্তাদের আনুষঙ্গিক সহায়তা, নিরাপত্তা, তথ্য ও উপাত্ত সরবরাহ, যাতায়াত ও পথ প্রদর্শন প্রদানে সহযোগিতা করার অনুরোধ করা হয়েছে। এই চিঠি পুলিশ সুপার, চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, চিরিরবন্দর থানাকেও প্রদান করা হয়েছে। কূপ খনন কাজে দল প্রধান হিসেবে রয়েছেন উপ-পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) মাসুদ রানা। তার সঙ্গে রয়েছেন উপ-পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) নিহাজুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) নাজমুল হোসেন খান, সহকারী পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) মঞ্জুর আহমেদ এলাহী ও সহকারী পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) মো. রোকনুজ্জামান।