বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২৪ March ২০২১

সব্যসাচী এক অভিনেতা


অভিনয়ের মাধ্যমে বহুমুখিতার ছাপ রেখেছেন এই অভিনেতা। প্রতিবার যেন নিজেকে নতুনরূপে দর্শকের সামনে হাজির করেছেন আহমেদ রুবেল। বলা যায় সব্যসাচী এক অভিনেতা। এই অভিনেতার সবচেয়ে বড় দিক তার গলার স্বর। তাই তো যে কোনো সংলাপ বলার সময় তা যেন কবিতা আবৃত্তির মতো বলিষ্ঠ মনে হয়। বড়পর্দার বাণিজ্যিক ছবিতে তার যাত্রা শুরু হয় একজন খলনায়ক হিসেবে। বাণিজ্যিক ছবির পাশাপাশি অফট্র্যাক ছবিতেও তার জুড়ি মেলা ভার। যেমন ‘মেঘলা আকাশ’, ‘ব্যাচেলর’, ‘চন্দ্রকথা’, ‘দ্য লাস্ট ঠাকুর’, ‘গেরিলা’, ‘জোনাকির আলো’, ‘পারাপার’, ‘পৌষ মাসের পিরিতি’ প্রভৃতি সিনেমায় দেখা গেছে রুবেলের অসাধারণ অভিনয়।

দীর্ঘ ছয় বছর পর আবারো বড়পর্দায় দেখা যাবে তাকে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মুক্তি পেয়েছে তার নতুন ছবি ‘অলাতচক্র’। এটি পরিচালনা করেছেন হাবিবুর রহমান। ছবিটি নির্মিত হয়েছে প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক আহমদ ছফার আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস অবলম্বনে। এতে আহমেদ রুবেলের বিপরীতে রয়েছেন জয়া আহসান। ‘অলাতচক্র’ ছবিতে দেখানো হয়েছে একাত্তরে কলকাতায় শরণার্থী হিসেবে আশ্রিত দানিয়েল নামের এক বাংলাদেশি লেখকের সঙ্গে ক্যানসার আক্রান্ত প্রগতিশীল নারী তায়েবার প্রেম ঘিরে। যেখানে রয়েছে মানসিক টানাপোড়েন এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীর দৃষ্টিভঙ্গি। ছবিতে ‘দানিয়েল’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন আহমেদ রুবেল। অগণিত পাঠকের পড়া আহমেদ ছফার উপন্যাস থেকে নির্মিত চলচ্চিত্রে অভিনয় কতটা চ্যালেঞ্জিং? উত্তরে রুবেল বলেন, ‘উপন্যাসনির্ভর কাজ সবসময় চ্যালেঞ্জিং। লেখককে দেখিনি। কিন্তু তার ওপর পড়াশোনা ও নানাভাবে চরিত্রটি সম্পর্কে জেনেছি, যা আমাকে অভিনয়ে সাহায্য করেছে। মুক্তিযুদ্ধ যখন শুরু হয়, তখন আহমদ ছফা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কলমের অস্ত্রও তো চালাতে হবে কাউকে। তাই ছফা সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে থাকলেন না। চলে গেলেন পশ্চিমবাংলায়। মুক্তিযুদ্ধের সময় ছফার সেই স্মৃতিই দানিয়েল চরিত্রের জবানিতে প্রকাশিত হয় ‘অলাতচক্র’ উপন্যাসে। আমি আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি। চরিত্রটি কতটুকু ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি দর্শকই ভালো বলতে পারবেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন বাস্তবতার কিছু চিত্র দর্শক এই ছবির মাধ্যমে দেখতে পাবেন, যা তাদের যুদ্ধের ভয়াবহতা আর মানবতার বিষয়ে কিছুটা হলেও ভাবাবে।’

অভিনয়ে প্রায়ই বিরতি নিতে দেখা যায় আপনাকে, এর কারণ কী? উত্তরে রুবেল বলেন, ‘আগেও কম কাজ করেছি। পারিবারিক সমস্যার কারণে গত কয়েক বছর বিরতি দিয়ে অভিনয় করছি। আর অভিনয়ে ব্যস্ত হওয়ার মতো পরিবেশও পাচ্ছিলাম না। নানা কারণে অভিনয়ে আগ্রহ হারিয়ে যাচ্ছিল। হতাশা কাটিয়ে উঠেছি। মানহীন নাটকের সংখ্যা বাড়লেও ভালো কাজ এখনো হচ্ছে। যে জন্য মাঝে মাঝে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াই। যে কাজটি আমার ভালো লাগে না, তা কখনো করি না। আবারো নিয়মিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অভিনয়ে অনিয়মিত- এই অভিযোগ যেন আর শুনতে না হয়, যে জন্য আবার পুরোদমে কাজ শুরু করেছি।’

আহমেদ রুবেল যে পুরোদমে কাজ শুরু করেছেন, তা বোঝাই যায়। সম্প্রতি ‘জিন্দাবাহার’ নামে একটি ধারাবাহিকে কাজ শুরু করেছেন। আড়াইশ বছরের পুরনো ইতিহাস নিয়ে বিটিভির জন্য এই নাটকটি নির্মাণ করছেন ফজলে আজিম জুয়েল। এছাড়া শেষ করেছেন নূরুল আলম আতিক পরিচালিত ‘পেয়ারার সুবাস’, ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ এবং জুয়েল মাহমুদের ‘চিরঞ্জীব মুজিব’ চলচ্চিত্রের কাজ। নতুন এই ছবিগুলো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এ বছরেরই মুক্তি পাবে লাল মোরগের ঝুঁটি। এই ছবিটি নিয়ে আমি অনেক আশাবাদী।’

অনেক অভিনেতার মধ্যেও নিজের ব্যক্তিত্ব, অভিনয়

ক্ষমতায় বিপুল দর্শকের মনে জায়গা করে নেওয়া একজন অভিনেতা তিনি। তাকে একবাক্যে পছন্দ করা দর্শকের সংখ্যাই বেশি। আর এভাবেই নিজের স্বকীয়তা বজায় রেখে চলতে চান এই তারকা।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১