আপডেট : ০৫ February ২০২১
মাঘের সকালে কুয়াশার চাদর আর কনকনে হিমশীতল হাওয়া চারিদিকে বীজতলায় চারা উঠানোয় ব্যস্ত কৃষক। বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন ধান চাষের সূতিকাগার নওগাঁর শস্য ভান্ডার খ্যাত নিয়ামতপুর উপজেলার কৃষকরা। এ এলাকায় আমনের ফলন কম হওয়াই অনেক ক্ষতি সাধন হয়েছে উপজেলার কৃষককূলের সেই ক্ষতি পোষিয়ে নিতেই বোরো চাষে কোমর বেধে নেমেছে নিয়ামতপুরের কৃষক কূল। শ্রমিকেরা ধান রোপণের জন্য বিঘা প্রতি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১ শত টাকা পর্যন্ত চুক্তিতে নিচ্ছেন, তারা জানান প্রচন্ড ঠান্ডার কারনে সকাল থেকে কাজ করা যাচ্ছে না। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৮ টি ইউনিয়ন চলতি মৌসুমে ১৯ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৭ হাজার ৩শ ৮০ হেক্টর রোপণ হয়েছে এক সপ্তাহের মধ্যে রোপণ শেষ হতে পারে। এবার উপজেলায় রোপন হচ্ছে উন্নত ফলনশীল ব্রিধান ২৮, ৫৮, ৮১ জিরাশাইল, কাটারীভোগ, হাইব্রীড জাতের ধান রোপন হচ্ছে। জিরাশাইল ৮৫% এবং অন্যান্য জাতের ধান ১৫% রোপন করা হয়েছে। কৃষি বিভাগ বিভিন্ন প্রশিক্ষন, উঠান বৈঠক ও মাঠপর্যায়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ৩৫-৪০ দিনের চারা রোপন করা, প্রচুরপরিমান জৈব সার ব্যবহার করা, ধান লাইনে (১৫-২০সেমি:দুরত্বে) রোপন করা, প্রতি বিঘা জমিতে ৫টি করে খুটি পুতিয়ে পাখি বসানোর ব্যবস্থা করা(পার্চিং পদ্ধতি), প্রতি লাইন পরপর একটি লাইন গ্যাপ দিয়ে চারা রোপন করা। সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ করা। উপজেলার অমৃতপুর গ্রামের কৃষক মমিনুল ইসলাম সেলিম বলেন, বরেন্দ্র অফিস যদি আমাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করতো তাহলে কৃষকদের কষ্ট অনেক অংশে লাঘব হতো এমনকি খরচও কম হতো। তিনি এবার ৩০ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করছেন। জানা গেছে, নিয়ামতপুর উপজেলার সেচ কমিটি ব্যক্তিগতভাবে পরিচালিত বিভিন্ন যন্ত্রের বোরো মৌসুমে বিঘা প্রতি (৩৩ শতক) বোরো ধানের সেচ চার্জ বাবদ চন্দননগর, ভাবিচা ও শ্রীমন্তপুর ও বাহাদুরপুর ইউনিয়নের জন্য বিদ্যুৎচালিত এস টি ডব্লিও ১৪শ টাকা, হাজিনগর, নিয়ামতপুর, রসুলপুর ও পাড়ইল ইউনিয়নের ইউনিয়নের জন্য বিদ্যুৎ চালিতএসটিডব্লিও ১৬শ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে তবে একাধিক কৃষক জানান নির্ধারিত এ সেচ মূল্যের চেয়ে ৩শ থেকে ৫শ টাকা বেশী নেওয়া হচ্ছে।
সাথে কৃষানীদেরও বেড়েছে ব্যস্ততা। কয়েক দিনের শৈত্য প্রবাহ আর ঘন কুয়াশার সাথে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় বোরো আবাদ রোপনে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। আর শীতের ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে জমি প্রস্তুতে পানি সেচ আর হাল চাষ এবং বীজতলা থেকে চারা তুলে জমিতে রোপণ চলছে। দিন ভর ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। ধান লাগানো বাবদ শ্রমিকের মজুুুুরী বিঘা প্রতি ১ হাজার থেকে ১১শ টাকা জমি চাষ সেচ সার নিরানি ঘরে তোলা পর্যন্ত প্রায় ১০ / ১১ হাজার খরচ হবে।
উপজেলা কৃষি র্কর্মকতা আমীর আব্দুল্লাহ মোঃ ওয়াহিদ্জ্জুামান জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ১৯ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপনের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ধান রোপন শেষ হবে। কৃষি বিভাগ সব সময় কৃষকের পাশে আছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভাল ফলন হবে।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১