আপডেট : ১৮ November ২০২০
ঢাকা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গতকাল মঙ্গলবার দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশ ও নেপাল গোলশূন্য ড্র করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে হওয়া দুই ম্যাচের সিরিজে গত শুক্রবার প্রথম দেখায় ২-০ গোলে জিতেছিল বাংলাদেশ। ফলে বাংলাদেশ সিরিজ জিতল ১-০ ব্যবধানে। প্রথম ম্যাচের তুলনায় দ্বিতীয় ম্যাচে নেপাল বেশ ভালো খেলেছে। সেরা একাদশে দুটি পরিবর্তন আনেন বাংলাদেশ কোচ; রিয়াদুল হাসানের জায়গায় ইয়াসিন খান ও গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর জায়গায় আশরাফুল ইসলাম রানা। অন্যদিকে, আগের ম্যাচের সেরা একাদশে পাঁচটি পরিবর্তন আনে নেপাল। রক্ষণ জমাট রেখে সুযোগ পেলে দুই দলই আক্রমণে উঠছিল। কিন্তু প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে তেমন কোনো পরীক্ষা নিতে পারেনি কেউ। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে সাদ উদ্দিনের ক্রস জমে যায় নেপাল গোলরক্ষকের গ্লাভসে। একটু পর তেজ তামাংয়ের দূরপাল্লার শট সহজেই গ্লাভসে নেন এক ম্যাচ পর পোস্টের নিচে ফেরা রানা। ২৩তম মিনিটে জীবনের ছোট পাস ধরে ডি-বক্সের বাইরে থেকে সুমন রেজার শট ক্রসবারের একটু ওপর দিয়ে যায়। সাত মিনিট পর প্রতি-আক্রমণ থেকে ভালো একটি সুযোগ এসেছিল; কিন্তু জীবনের ক্রসে দুর্বল শটে হতাশ করেন সুমন। দ্বিতীয়ার্ধেও দুদল তেমন কোনো ভালো আক্রমণ করতে পারেনি। বাংলাদেশের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রা আরো একটু সতর্ক হয়ে খেললে অবশ্যই গোল পেত। কিন্তু সহজ সুযোগ তারা অবহেলায় নষ্ট করে। ম্যাচের একেবারে শেষের দিকে নেপাল দারুণ একটি আক্রমণ করলেও দুর্ভাগ্যক্রমে জালের দেখা পায়নি। ফলে হারের হাত থেকে রক্ষা পায় স্বাগতিকরা। গত শুক্রবার প্রথম ম্যাচে জয় পাওয়ার প্রবল ইচ্ছে, প্রাপ্ত সুযোগগুলোর সদ্ব্যবহার এবং অসাধারণ নৈপুণ্যের কারণে বাংলাদেশ দল নেপালকে হারালেও সেই ম্যাচের ছিটেফোঁটা লক্ষ করা যায়নি গতকাল। করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ দল দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ম্যাচের বাইরে ছিল। দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিপক্ষ নেপালের বিরুদ্ধে জিতে টানা তিন ম্যাচে হারের প্রতিশোধও নেয় জামাল বাহিনী। বাংলাদেশ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে টানা দুই হার। অনূর্ধ্ব-২৩ দল নিয়ে হওয়া এসএ গেমসে হার। সব মিলিয়ে টানা তিন ম্যাচ নেপালের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ ঐ ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার আগে। ২০১৩ ও ২০১৮ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালের কাছে দুবারই ২-০ ব্যবধানে হেরেছিল দল। গত বছর এসএ গেমসে হারে ১-০ গোলে। দর্শকরা আশা করেছিল দ্বিতীয় ম্যাচেও জয়লাভ করবে জামাল ভুইয়ারা। কিন্তু তারা খেলা দেখে অনেকটাই হতাশ হয়েছে। প্রথম ম্যাচে ডাগআউটে জেমি ডে থাকলেও করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তার দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে থাকতে পারেননি। তবে মাঠে না থেকেও শিষ্যদের দ্বিতীয় ম্যাচের জন্য পরিকল্পনা করে দেন। আর সেই অনুযায়ীই খেলেছে বাংলাদেশ দল। সবমিলে অবশ্য নেপালের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজটা খারাপ হয়নি বাংলাদেশের। এই ধারা অব্যাহত রেখে সামনের দিকে এগিয়ে গেলে সাফল্য পাবে তারা, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১