বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ১৩ November ২০২০

ভারতের ইতিহাসে প্রথম আর্থিক মন্দা!


লকডাউনের জেরে এপ্রিল থেকে জুন ত্রৈমাসিকে প্রায় ২৪ শতাংশ সংকুচিত হয়েছিল ভারতের জিডিপি। তারপর শুরু হয়েছে আনলক। আশা ছিল আনলক পর্বে অন্তত ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি। কিন্তু রিজার্ভ ব্যাংকের এক বিশেষজ্ঞ কমিটি জানিয়েছে, জুন থেকে সেপ্টেম্বরের ত্রৈমাসিকেও সম্ভবত বৃদ্ধির বদলে সংকুচিতই হচ্ছে জিডিপি। যার অর্থ স্বাধীনতার পর ইতিহাসে এই প্রথমবার সরকারিভাবে মন্দায় প্রবেশ করবে ভারত।

মনিটারি পলিসির দায়িত্বে থাকা ভারতের রিজার্ভ ব্যাংকের (আরবিআই) ডেপুটি গভর্নর মাইকেল পাত্রর নেতৃত্বাধীন বিশেষজ্ঞ দল নিজেদের রিপোর্টে জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকেও দেশের জিডিপি ৮.৬ শতাংশ সংকুচিত হতে চলেছে। ওই রিপোর্টেই বলা হয়েছে, ভারত ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথমার্ধে টেকনিক্যাল রিসেশন অর্থাৎ মন্দায় প্রবেশ করেছে। যদিও সরকারিভাবে রিপোর্টটি এখনো প্রকাশ করা হয়নি। আগামী ২৭ নভেম্বর তা প্রকাশিত হওয়ার কথা।

কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংশ্লিষ্ট সূত্রকে উদ্ধৃত করে এই খবর প্রকাশ করেছে। আর খবর প্রকাশ্যে আসতেই সেটিকে হাতিয়ার করে আসরে নেমেছেন রাহুল গান্ধী। তার দাবি, ইতিহাসে প্রথমবার মন্দা শুরু হলো দেশের অর্থনীতিতে। প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন পদক্ষেপ ভারতের আসল শক্তিকেই তার দুর্বলতায় পরিণত করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অর্থনীতিকে দাঁড় করানোর জন্য মূলত রিজার্ভ ব্যাংকের ওপরই নির্ভর করতে হচ্ছে সরকারকে। অর্থমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী সে অর্থে বিশেষ কোনো কার্যকর নীতিই গ্রহণ করতে পারেননি। কেন্দ্র যে তথাকথিত প্যাকেজের কথা বলছে, সেটি মূলত ঋণসর্বস্ব। যার সুবিধা সরাসরি সাধারণ মানুষ পাচ্ছে না। আর সাধারণ মানুষ সরাসরি সুবিধা না পেলে আর যাই হোক অর্থনীতির দৈন্য ঘুচবে না। তবে দেরিতে হলেও সম্ভবত বোধোদয় হচ্ছে সরকারের।

সূত্রের খবর, করোনা-পরবর্তী পরিস্থিতিতে তৃতীয় বড় আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করতে চলেছে কেন্দ্র। আরবিআই-র ডেপুটি গভর্নর মাইকেল পাত্রর রিপোর্টে বলা হয়েছে, অর্থনীতির বেহাল দশা দেশকে নজিরবিহীন মন্দার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তবে উৎসবের মৌসুমে অর্থনীতির চাকা আশার আলো দেখা যাচ্ছে। বিক্রিবাট্টা কমলেও ব্যয় সংকোচনের পথে হাঁটায় বিভিন্ন সংস্থার অপারেটিং লাভ বেড়েছে। ব্যাংকের নগদের পরিমাণ, গাড়ি বিক্রির পরিসংখ্যান অক্টোবর মাসে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিচ্ছে। গত মাসে আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের প্রস্তাবিত সময়ের আগেই অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। তবে মূল্যবৃদ্ধির চাপ ও অপ্রত্যাশিত মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আর্থিক নীতিতে হস্তক্ষেপের জেরে বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্টের ঝুঁকি রয়েছে বলে আরবিআই-র বুলেটিনে লিখেছেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের অভিমত, করোনার দ্বিতীয় দফার প্রাদুর্ভাবে প্রভাব পড়বে বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধিতে। সেই ঝুঁকিও থাকছে। বিভিন্ন সংস্থা ও সাধারণ মানুষ এখনো শঙ্কায় রয়েছে। তার প্রভাব পড়বে আর্থিক ক্ষেত্রে।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১