আপডেট : ২১ March ২০২০
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসারকে লাঞ্চিতের ঘটনায় দুইজন কে আটক করেছে মুকসুদপুর থানা পুলিশ। এতে ৩ঘন্টা হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকে। গ্রেপ্তারকৃত এক জন ইউপি সদস্য, অপরজন তার ছেলে। আজ শনিবার সকাল ১০টার সময় হাসপাতালের মহিলা ও শিশু বিভাগে রাউন্ড চলাকালিন এই ঘটনা ঘটে। হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: মাহমুদুর রহমান জানান, শনিবার সকালে হাসপাতালের মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডে নিয়মিত রাউন্ড চলকালীন সময়ে উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার মিরাজ মুন্সী তার পুত্রবধু তন্নি বেগমকে (২৫) নিয়ে আসেন। তখন মেডিকেল অফিসার রাউন্ডে অন্য রোগী দেখছিলেন। তাকে তার রোগী আগের দেখার কথা বল্লে তিনি হাতের রোগীটা দেখেই আসতে চান। কিন্তু তারা সেটা না মেনে উত্তেজিত হয়ে চিৎকার চেচামেচি করতে থাকেন এবং ডা: মনিম উল হাবিবকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন। এ সময় রোগীর স্বামী এই উপজেলার গোবিন্দপুর ইউপি ৩নং ওয়ার্ড সদস্য মিরাজ মুন্সী (৫৫) এবং তার ছেলে সোহেল মুন্সী (২৮) অধিকতর উত্তেজিত হয়ে হাসপাতালের স্টাফ, নার্স ও ডাক্তারের উপর হামলা চালায়। হাসপাতালের সকল কর্মীরা একযোগে তাদের প্রতিহত করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসলে মুকসুদপুর থানায় জানালে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে মুকসুদপুর হাসপাতালে কর্মরত সকল ডাক্তার কর্মচারী হাসপাতালের সমস্থ চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দেয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলিমা আলী ঘটনাস্থলে এসে জরুরী বিভাগ চালু রাখার অনুরোধ করলে চিকিৎসরা জরুরী বিভাগ চালু রাখলেও বিচার পাওয়ার আগ পর্যন্ত আউটডোরের চিকিৎসা সেবা বন্ধ রাখেন। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ৩টা পর্যন্ত হাসপাতালের ইমার্জেন্সী ব্যাতীত সকল চিকিৎসা বন্ধ থাকে।
মুকসুদপুর থানার ওসি মীর্জা আবুল কালাম আজাদ জানান, আসামীদের আটক করে গোপালগঞ্জ জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১