বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ১২ March ২০২০

উইলসের শিক্ষিকা ফাহিমার অবস্থা স্থিতিশীল


রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের গুরুতর আহত শিক্ষিকা সৈয়দা ফাহিমা বেগমের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। গতকাল বুধবার সকালে তিনি চোখ মেলে তাকিয়েছেন। গত মঙ্গলবার রাতেই কনুইয়ের ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া হাতটি সংযুক্ত করা হয়।

মঙ্গলবার উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের বহনকারী শিক্ষাসফরের একটি মিনিবাস (কোস্টার) দুপুর ১টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাথালিয়া দোলা পেট্রোলপাম্পের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা দেয়। এতে শিক্ষক ও কর্মকর্তাসহ অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় শিক্ষক সৈয়দা ফাহিমা বেগমের বাঁ হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। দুর্ঘটনার পরপরই তাকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।

শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের যুগ্ম পরিচালক লুৎফুল কাদের বলেন, সৈয়দা ফাহিমা বেগমের হাতের জুড়ে দেওয়া অংশে রক্ত সঞ্চালন হবে বলে তারা আশা করছেন। গতকাল বিকাল ৫টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ফাহিমার অস্ত্রোপচার চলে। আজ সকাল থেকে তিনি সাড়া দিচ্ছেন।

ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থশংকর পাল জানিয়েছিলেন, আহত শিক্ষকের হাতের হাড় একরকম গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে গেছে, মাংস থেঁতলানো।

এদিকে শিক্ষা সফরের দুর্ঘটনা কবলিত বাসের শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরেছে বুধবার ভোরে। উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মশিউর রহমান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনার জন্য শিক্ষার্থী পরিবহনকারী বাসের চালক ও অজ্ঞাতনামা ট্রাকের চালক দায়ী। বাসচালক বেপরোয়া চালিয়েছেন, আর ট্রাকচালক মহাসড়কের ওপর বেআইনিভাবে ট্রাক থামিয়ে রেখেছিলেন।

এ ঘটনায় বাদী হয়ে মশিউর রহমান গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ভাঙা হাইওয়ে পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

সৈয়দা ফাহিমা বেগম প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলামের স্ত্রী। উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজে তিনি পৌরনীতি পড়াতেন। তিনি দুই সন্তানের জননী।

উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ১২০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে ১০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ‘স্টাডি ট্যুরে’ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছিলেন। এই বহরে চারটি এসি মিনিবাস ও একটি মাইক্রোবাস ছিল। শিক্ষাসফরটির তত্ত্বাবধানে ছিল পর্যটন করপোরেশন। দুর্ঘটনাটি যখন ঘটে তখন শিক্ষার্থীদের বহনকারী চারটি বাসের দুটি গন্তব্যে পৌঁছে যায়। বাসটি দুর্ঘটনায় পড়লে কাছেই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মী, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১