বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ০২ February ২০২০

হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখির বাসা


বাবুই পাখি গ্রামবাংলার ছোট্ট একটি পাখির নাম। এ পাখি যেমন বুদ্ধিমান তেমনি শিল্পির মতো অপরূপ তার কারুকার্য। বাবুই পাখি দেখতে অনেকটা চড়ুই পাখির মতো। তবে আকারে একটু বড়। এরা ঝাঁকবেঁধে তালগাছের চূড়ায় বসবাস করে, এরা খুব পরিশ্রমী। গ্রামগঞ্জে এই বাবুই পাখি আর আগের মতো চোখে পড়ে না। রজনীকান্ত সেনের কবিতার সেই বাবুই পাখি আজ হারিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে এখন আর আগের মতো এই পাখি দেখা যায় না। এক-শ্রেণির লোক শিকার করছে বাবুই পাখি।

অন্যদিকে খাঁচায় বন্দি করে বেচাকেনাও হচ্ছে এ পাখি। হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পাখির বাসা। বাবুই সাধারণত তালগাছের চূড়ায় বাসা বাঁধে যা গ্রামগঞ্জের একটি ঐতিহ্যবাহী দৃশ্য। বাবুই পাখি নিয়ে কবি- সাহিত্যিকরা অনেক গল্প ও কবিতা লিখেছেন। তালগাছের পাতার নিচের অংশে বাবুই পাখি বাসা তৈরি করে। বাবুই পাখিদের বাসা বানানোর নির্মাণশৈলী, কারিগরি দক্ষতা দেখে আধুনিক যুগের প্রকৌশলীদেরও ভাবিয়ে তোলে। তালপাতার ছেঁড়া তন্তু দিয়ে তারা বাসা বাঁধে। পাতা ছিঁড়ে এনে সূক্ষ্মভাবে ঠোঁট দিয়ে তা গাঁথুনি করে বাসা তৈরি করে, তাই এর নাম শিল্পী বাবুই পাখি। ঝড়বৃষ্টিতেও সেই বাসা ভেঙে পড়ে না। তালপাতার বাসায় কোনোভাবেই জল ঢোকে না। এ বাসায় প্রবেশ ও বাইর হওয়ার জন্য রয়েছে একাধিক দরজা। এ এক অদ্ভুত দৃশ্য। অন্ধকার ঘরকে কীভাবে আলোকিত করতে হয় তাও বাবুই পাখিরা ভালোভাবেই জানে। বাবুই পাখির বাসার ভেতর আধুনিক যুগের মতো লাইটের ব্যবস্থা আছে। ঘরে গোবর রাখা হয় যাতে জোনাকি পোকার মাথাটি ঢুকিয়ে দেয়। ফলে জোনাকির আলোতে বাসা আলোকিত হয়ে ওঠে। গ্রামগঞ্জের তালগাছে এই বাবুই পাখির দেখা মেলে। এই দৃশ্য সাধারণ বাংলাদেশের প্রতিটি পল্লী গ্রামে দেখা যায়।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১