আপডেট : ২৭ January ২০২০
ব্রিটিশ সিংহাসনের উত্তরাধিকারী প্রিন্স চার্লস রাষ্ট্রীয় সফরে ইরানে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। যুক্তরাজ্যের দৈনিক সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ আগ্রহ প্রকাশ করেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। সাক্ষাৎকারে চার্লস ছোট ছেলে প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগানের রাজকীয় দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া নিয়ে রাজপরিবারে সম্প্রতি যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, তা নিয়ে কিছু বলতে রাজি হননি। ‘হ্যাঁ, অবশ্যই আমি যেতে চাই। আমি জানি ইরান শতকের পর শতক ধরে বিশ্বের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ; জ্ঞান, সংস্কৃতি, কবিতা, শিল্প সবকিছুতে তাদের অনন্য অবদান রয়েছে। আমি বলছি, তারা সত্যিই অনন্যসাধারণ’, সানডে টাইমসকে এমনটাই বলেছেন চার্লস। ব্রিটিশ সিংহাসনের এ উত্তরাধিকারী এমন এক সময় ইরান যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন, যখন তেহরানের সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর সম্পর্কে চরম টানাপোড়েন চলছে। চলতি মাসেই যুক্তরাষ্ট্র ইরানের কুদস বাহিনীর কমান্ডার কাসেম সোলাইমানিকে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে; পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় তেহরানও ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে। একই সময়ে যুক্তরাজ্য নাজনিন জাঘারি-র্যাটক্লিফসহ ইরানের কারাগারে আটক দ্বৈত নাগরিকদের ছেড়ে দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ২০১৫ সালে কন্যাসহ ইরানে গ্রেপ্তার নাজনিনের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব রয়েছে। সানডে টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চার্লস বলেছেন, তিনি শান্তি স্থাপনে চেষ্টা করছেন এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির জন্য প্রার্থনা করে চলেছেন। ‘আমি বিশ্বাস করি, ন্যায় এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়’, শুক্রবার ফিলিস্তিনের বেথলেহেম সফরের সময় বলা কথাই সাক্ষাৎকারে পুনরাবৃত্তি করেন ব্রিটিশ যুবরাজ। ব্রিটিশ রাজপরিবার সাধারণত রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকার নীতি মেনে চললেও সিংহাসনে বসা মাত্রই চার্চ অব ইংল্যান্ডের গভর্নর হতে যাওয়া চার্লস দীর্ঘদিন ধরেই আন্তঃধর্মীয় সংলাপ ও পরিবেশ ইস্যু নিয়ে কথা বলে আসছেন।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১