বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ০২ January ২০২০

‘১৪ লাখ টন তেল আমদানি করবে সরকার’


সরকার সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব থেকে ৬ হাজার ৫৭৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার ১৪ লাখ টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করবে। গতকাল বুধবার বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী একথা জানান। 

অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২০ পঞ্জিকাবর্ষে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের প্রক্রিয়াকরণের জন্য আবুধাবি ন্যাশনাল ওয়েল কোম্পানি ও সৌদি এরাবিয়ান ওয়েল কোম্পানি থেকে মারবান ও এরাবিয়ান লাইট ক্রুড-এএলসি আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সরকার টু সরকার (জিটুজি)’ নীতি অনুসরণ করে ১৪ লাখ টন অপরিশোধিত তেল কেনা হবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৫৭৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এই তেল আমাদের দেশে উৎপাদিত হয় না। জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ এ তেল আমদানি করবে। এদিকে, বৈঠকে ২০২০ সালে জানুয়ারি-জুন সময়ে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র প্রক্রিয়ায় ৫ হাজার কোটি ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকার গ্যাস অয়েল, জেট এ, ফার্নেস ওয়েল ও মোগ্যাস আমদানির প্রস্তাবেরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।

এ ছাড়া মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএপিএফসিএল) জন্য ৩০ হাজার টন ফসফরিক এসিড আমদানির প্রস্তাব (ব্যয় ৮৭ কোটি ১৮ লাখ ৪৮ হাজার টাকা), শতভাগ পল্লীবিদ্যুতায়নের জন্য নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ (ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২৬ হাজার ৭৪০ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইনের জন্য কন্ডাক্টর, এসিএসআর, বার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫১ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা। 

এর আগে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে সৌদি আরব থেকে ইউরিয়া সার আমদানির ১৩তম সংশোধনী চুক্তি সইয়েরও নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। এ চুক্তির আওতায় ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে ইউরিয়া সার আনবে সরকার।

ব্যাংক ঋণে সুদহার বাস্তবায়নে সরকার কঠোর : ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ব্যাংক ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার ৯ শতাংশ এবং আমানতের সুদ ৬ শতাংশ বাস্তবায়নে সরকার এবার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তিনি বলেন, আগামী এপ্রিল মাস থেকেই ব্যাংকগুলোকে ঋণের সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে আসতে হবে। আমাদের যেকোনো কারণেই হোক ডিপোজিটে বেশি সুদ দেওয়া হয়। এটা আর সইতে পারছি না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ কারণে কঠিন সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। প্রশ্ন তুলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকাররা যদি ৬ শতাংশ সুদে ডিপোজিট পান তাহলে ৯ শতাংশে ঋণ দিতে পারবে না কেন? আগে করেননি, সে জন্য সরকার এবার অনেক বেশি স্ট্রিক্ট (কঠোর)। আগে তাদের (ব্যাংকগুলোর) ওপর বিষয়টি ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল, কেউ কেউ বাস্তবায়ন করেছে, কেউ কেউ করেনি। কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হবে। সুতরাং এবার আমরা বলছি অপেক্ষা করব সাত দিন, তবুও বাস্তবায়ন করব। গতকাল বুধবার থেকেই ব্যাংক খাতে শিল্প ঋণে সুদহার ৯ শতাংশ বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংক ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার ৯ শতাংশ এবং আমানতের সুদ ৬ শতাংশ বাস্তবায়নের বিষয়টি প্রথম থেকেই ছিল। কিন্তু প্রথম দিকে এটি আমরা ফেজ ওয়াইজ বাস্তবায়ন করব বলে ধারণা ছিল। কিন্তু আমরা পরে দেখলাম, আমরা ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে ঋণে সুদহার ৯ শতাংশ বাস্তবায়ন করলে অনেক ইন্ডাস্ট্রি এবং অনেক খাত বাদ পড়ে যাবে। এটাকে এলিমিনেট করার জন্য প্রধানমন্ত্রী বললেন, যদি সফলতা পেতে চাও তাহলে সব ঋণগ্রহীতাকে এ সুবিধা দাও। 


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১