আপডেট : ৩১ December ২০১৯
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ যত এগিয়ে আসছে, চাপ বাড়ছে আওয়ামী লীগ শীর্ষ নেতৃত্বের ওপর। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক বিশেষ প্রতিবেদনে এমন মন্তব্য করা হয়েছে। আগামী ১৭ মার্চ শুরু হবে বর্ষব্যাপী উৎসব। মূল অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের নেতাদের পাশাপাশি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও। ঢাকার একটি সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা প্রবীণ নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন মোদির সফর নিয়ে। তাদের বক্তব্য, ‘ইন্দিরা গান্ধী ও তার পরিবারের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক বাংলাদেশের। মোদি যদি ঢাকায় এসে গান্ধী পরিবারকে রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ করেন কিংবা কংগ্রেস নেতৃত্বের সমালোচনা করেন তবে তাতে অনুষ্ঠানের সুর কেটে যেতে পারে।’ আনন্দবাজার আরো জানায়, মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও তার পরিবারকেও। আমন্ত্রিতদের তালিকায় আরো রয়েছেন প্রণব মুখার্জি, লালকৃষ্ণ আদভানি, সীতারাম ইয়েচুরিরাও। ফলে বাংলাদেশ স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে, মুক্তিযুদ্ধে নেহরু-গান্ধী পরিবারের অবদানকে অস্বীকার করার উপায় নেই। আবার ভারতের বহুদলীয় গণতন্ত্রকেও স্বীকার করে বাংলাদেশ। বিষয়টি মোদি সরকার কীভাবে নেবে, এখনো সেটি স্পষ্ট নয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, এমনিতেই নাগরিকত্ব তালিকা (এনআরসি) ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বিস্ফোরক মন্তব্যগুলো সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে ঢাকার জন্য। বাংলাদেশের সঙ্গে বারবার পাকিস্তানকে একসূত্রে গাঁথা এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়নের মতো বিষয়ে ভারতের একাধিক সংসদ সদস্যের তির্যক বক্তব্য সম্প্রতি দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে বেশ অস্বস্তি তৈরি করেছে। এছাড়া অমিত শাহ সম্প্রতি রাজস্থান ও দিল্লির দুটি জনসভায় ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারীদের ‘উইপোকা’র সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন, ‘অনুপ্রবেশকারীরা প্রকৃত ভারতীয়দের অধিকার হরণ করছে। তাদের রসদে ভাগ বসাচ্ছে। উইপোকার মতো ভেতর থেকে ভারতকে কুরে কুরে খাচ্ছে। এদের প্রত্যেককে খুঁজে বের করে ফেরত পাঠানো হবে।’ বাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা ভারতের নতুন পররাষ্ট্রসচিব হওয়ায় ঢাকাকে সঠিক বার্তা দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা মাত্র। রাজনৈতিক নেতৃত্বের কোনো পদক্ষেপ বা সিদ্ধান্ত বদলানোর ক্ষমতা তার নেই, এমনটাই ভারতীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন বলে আনন্দবাজার তাদের প্রতিবেদনটিতে জানিয়েছে।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১