কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার ১নং বাইশগাঁও ইউনিয়নের দূর্গাপুর উত্তর-পূর্বপাড়ার পাশদিয়ে বয়ে গেছে ডাকাতিয়া নদী। নদীর এপাড় থেকে ওপাড়ে চলাচল করে প্রতিদিন হাজারো মানুষ। এই ইউনিয়নের প্রায় ৩০০ পরিবারের একমাত্র ভরসা এই বাঁশের সাঁকোটি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা জেলার ১৮টি উপজেলার মধ্যে মনোহরগঞ্জ উপজেলাটি ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। যার বেশিরভাগ অংশেই বয়ে গেছে কুমিল্লা জেলার ঐতিহ্য ডাকাতিয়া নদী। আর এই নদীর দুই পাশে বিচ্ছিন্নভাবে গড়ে উঠেছে গুচ্ছ গ্রাম। এই নদীর উপর দিয়ে পারাপারের একমাত্র অবলম্বন নির্মিত বাঁশের সাঁকো। বাঁশের সাঁকোটি সরিয়ে একটি সেতু নির্মাণ হলে দূর্ভোগ কমবে বলে আশা রাখছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটির পূর্ব প্রান্ত জুড়ে রয়েছে প্রায় ৩০০ বিঘা জমি। যা এই গ্রামের মানুষের জীবিকা নির্বাহের চাবিকাঠি। আর এই জমিগুলো চাষাবাদ করতে দৈনিক ঝুকিপূর্ণভাবে পারাপার হতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের।

২০০৪ সালের ২৬শে আগস্ট নিকার ৯০তম বৈঠকে বৃহত্তর লাকসামের দক্ষিণাঞ্চলের ১১টি ইউনিয়নের সমম্বয়ে মনোহরগঞ্জ প্রশাসনিক উপজেলা গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। ২০০৫ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি এই উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়। উপজেলা স্থাপনের পর এই ডাকাতিয়া নদীর পাশে গড়ে ওঠে ছোট ছোট গুচ্ছ গ্রাম। যাদের একমাত্র অবলম্বন এই বাঁশের সেতু ।

এ বিষয়ে বাইশগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন বি.এস.সি বলেন, এই সমস্যার সামাধানের ব্যপারে বাইশগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে এলজিইডিতে আমি  প্রস্তাব পাঠিয়েছি। বাঁশের সাঁকোটি সরিয়ে একটি সেতু নির্মাণ হলে এই দুই পাড়ের মানুষের দুর্ভোগ কমবে এবং কৃষি আবাদী জমির এবং কৃষকদের উপকার হবে।