বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২০ December ২০১৯

সাঁথিয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তার কটুক্তি

শাস্তির দাবিতে শিক্ষকদের স্মারকলিপি


পাবনার সাঁথিয়ায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মর্জিনা পারভীনের বিরুদ্ধে বিজয়ের মাসে মুক্তিযোদ্ধাদের  অবমাননা ও কটুক্তির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তার শাস্তি দাবি করে সাঁথিয়া উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ৪৩ জন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান শিক্ষক সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন।

সাঁথিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল লতিফ ও অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক নেতা, মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান মঞ্জিল জানান,  সাঁথিয়া উপজেলায় কর্মরত বর্তমান শিক্ষা কর্মকর্তা মর্জিনা পারভীন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান শিক্ষকদের দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে আসছেন। তিনি শিক্ষকদের  বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ না করেই জাল সনদ বানিয়ে সরকারি নানা সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে। একইভাবে তাদের সন্তান শিক্ষকরা জাল সনদ ব্যবহার করে লেখাপড়া না করেই সরকারি চাকরি নিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান শিক্ষকদের তিনি বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের গালমন্দ ও অপমানসূচক কথা বলে মানসিকভাবে আঘাত  করেন। তার আচরণে তাকে স্বাধীনতাবিরোধী মানসিতার বলে প্রতীয়মান হয়।  ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসে  সাঁথিয়া উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানস্থলে ২০/২৫জন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান শিক্ষক হাজির হয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ্যাড. শামসুল হক টুকু এমপির নিকট শিক্ষা কর্মকর্তার মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে দম্ভোক্তির কথা জানান। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ্যাড. শামসুল হক টুকু বলেন, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নিয়ে কেউ অবহেলা বা অবজ্ঞা করলে তা কোনোক্রমেই বরদাস্ত করা হবে না। তিনি অবিলম্বে বিষয়টি দেখার জন্য সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশনা দেন। এ সময় সংবর্ধনা নিতে আসা মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষোভে ফেটে পড়ায় শিক্ষা কর্মকর্তা সংবর্ধনাস্থলে ঢুকতে না পেরে নিজ অফিসে গিয়ে বসেন।

সাঁথিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার বলেন, এই দুর্নীতিগ্রস্ত  শিক্ষা কর্মকর্তার জন্য সাঁথিয়া প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা  ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তার অফিসের উচ্চমান সহকারি গোলজার হোসেনের মাধ্যমে প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহণ, অশালীন আচরণ, শিক্ষকদের নানাভাবে হয়রানী,  অনিয়ম ও বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মর্জিনা পারভীনকে  জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান,তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়। কিছু শিক্ষক তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে।

এ ব্যাপারে পাবনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার মনসুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি।

 এ ব্যাপারে সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  এসএম জামাল আহমেদের নিকট এ বিষয়ে জানার জন্য মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।  


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১