আপডেট : ২৯ November ২০১৯
টাঙ্গাইলের সখীপুরে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে তিন পুলিশ সদস্যকে আটক করে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয় জনতা। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নের হতেয়া-রাজাবাড়ী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় জনতা সাদা পোশাকের তিন পুলিশ ও পুলিশের এক সোর্সকে আটক করে গণধোলাই দেয়। এসময় পুলিশ সদস্য হালিম ও তোজাম্মেল এবং সোর্স আল আমিন পালিয়ে যায়। পরে সখীপুর থানা পুলিশ গিয়ে আটককৃত পুলিশের এএসআই রিয়াজুল, কনস্টেবল গোপাল সাহা, কনস্টেবল রাসেল ও সোর্স হাসানকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। তারা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ফাঁড়িতে কর্মরত। জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মির্জাপুর থানাধীন বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশের ওই সদস্যরা সোর্স নিয়ে সাদা পোশাকে সখীপুর উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নের হতেয়া-রাজাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় আসে। ওই এলাকার মো. ফরহাদের ছেলে দিনমজুর বজলুর রহমানের (২৬) পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে দিয়ে তাকে জোর করে পুলিশের সিএনজি চালিত অটো রিকশায় তুলেন। এ সময় বজলুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ওই অটোরিকশা আটক করে। পরে বজলু উপস্থিত লোকজনকে জানান পুলিশ আমার পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে দিয়ে অটোরিকশায় তুলেছেন। এ ঘটনা শোনার পর উত্তেজিত জনতা ওই তিন পুলিশকে আটক করে তাদের পকেট তল্লাশি করে আরও কিছু ইয়াবা উদ্ধার করে। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা ওই তিন পুলিশকে গণপিটুনি দিয়ে একটি দোকান ঘরে আটকে রেখে সখীপুর থানা পুলিশকে খবর দেয়। হাতীবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিনের ছেলে নিয়ামুল বলেন, এটা সখীপুর থানা এলাকা। গত এক সপ্তাহ ধরে মির্জাপুর থানার বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশেরা এ এলাকায় এসে সাধারণ মানুষের পকেটে ইয়াবাবড়ি ঢুকিয়ে দিয়ে টাকা আদায় করে হয়রানি করে আসছিল। সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমির হোসেন বলেন, আটককৃত পুলিশ সদস্যসহ ৭জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শুক্রবার তাদের টাঙ্গাইল পাঠানো হয়েছে।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১