আপডেট : ০১ November ২০১৯
ভারতীয় জুয়াড়িরা বিশ্ব ক্রিকেটে হুমকিস্বরূপ, সেটা বারবার প্রমাণিত হচ্ছে। ২০০০ সালে দিল্লি পুলিশের আসা একটি টেপ থেকে উদ্ধার হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হ্যান্সি ক্রোনিয়ে আর ভারতীয় জুয়াড়ি সঞ্জয় চাওলার মধ্যে গোপন কথাবার্তা। সেই তদন্তের সূত্র ধরেই হ্যান্সি ক্রোনিয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ পরে প্রমাণিত হয়। ক্রোনিয়ে নিজের দেশের ক্রিকেট বোর্ডের কাছে অপরাধ স্বীকার করে নিয়ে ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত হন। সঞ্জয় চাওলা ছিলেন লন্ডনপ্রবাসী একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ক্রিকেট জুয়াড়ি। তিনি ও ভারতে তার সঙ্গী রাজেশ কালরা মিলেই ক্রোনিয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকা দলের আরো কিছু ক্রিকেটারকে ফিক্সিংয়ে টেনে এনেছিলেন। এর কিছুদিন পরেই ভারতীয় দলের তৎকালীন ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ আজহারউদ্দিনকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারতীয় বোর্ড। অজয় জাডেজা, মনোজ প্রভাকর, নয়ন মোঙ্গিয়াসহ আরো কয়েকজন ভারতীয় ক্রিকেটারের ওপরও শাস্তি নেমে আসে। আজহারউদ্দিনসহ এই তারকাদেরও ক্রিকেট বেটিং জগতের সঙ্গে যোগসূত্র ছিলেন মুকেশ গুপ্তা নামে একজন ক্রিকেট জুয়াড়ি। দক্ষিণ দিল্লির বাসিন্দা মুকেশ গুপ্তা ‘জন’ বা ‘এমকে’ নামেও পরিচিত ছিলেন। পারিবারিকভাবে স্বর্ণালঙ্কারের ব্যবসা থাকলেও ক্রিকেট বেটিংয়ের মারফত তিনি বিপুল অর্থসম্পত্তির মালিক হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। দিল্লি-মুম্বাই-লন্ডনের ভারতীয় কিংবা ভারতীয় বংশোদ্ভূত ক্রিকেট জুয়াড়িরাই বিশ্ব ক্রিকেটে বড় বড় তারকাকে বার বার বিপদে ফেলেছেন, সেই তালিকায় দীপক আগরওয়াল হলেন সর্বশেষ সংযোজন। এ প্রসঙ্গে অজিত সিং শেখাওয়াত বিবিসিকে বলেন, বিশ্ব ক্রিকেটকে এই ‘ভারতীয়’ জুয়াড়িরা কলুষিত করছে কি না সেটা আইসিসিই ভালো বলতে পারবে। তবে হ্যাঁ, আমাদের জন্যও এই জুয়াড়িরা বিরাট মাথাব্যথা কোনো সন্দেহ নেই। এদের ওপর সব সময় আমাদের নজর রাখতে হয়, অ্যালার্ট থাকতে হয়।’ বিশ্ব ক্রিকেটের দুর্নীতি দমন কর্মকর্তারা ‘অ্যালার্ট’ ছিলেন বলেই যে সাকিব আল হাসানের ওপর নিষেধাজ্ঞার সাজা নেমে এলো, তাতেও কোনো সন্দেহ নেই।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১