আপডেট : ০২ October ২০১৯
কারাবন্দি খালেদা জিয়ার জামিন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) জামিন পাবেন কি না সেটা আদালতের বিষয়। সরকার আদালতকে কীভাবে বলবে জামিন দিতে? এটা করলে বিচার ব্যবস্থার প্রতি কী অসম্মান করা হয় না? তিনি যদি জামিন চান এবং চিকিৎসকরা যদি মনে করেন-তার বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করা দরকার। সেক্ষেত্রে বললে, আদালত বিবেচনায় নিতে পারেন।’ আজ বুধবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির একজন এমপি (হারুন অর রশিদ) আমার সঙ্গে দেখা করে খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি তাদের দলের অভিপ্রায়ের কথা বলেছেন যে, খালেদা জিয়াকে জামিন দিলে তিনি (খালেদা জিয়া) বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাবেন।’ আমি প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি বলেছেন, এটা আদালতের বিষয়। আদালত জামিন না দিলে আমি কীভাবে করব?- যোগ করেন ওবায়দুল কাদের। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে তিনি জামিন পাবেন কিনা সেটা আদালতের বিষয়। সরকার আদালতকে কীভাবে বলবে যে জামিন দিয়ে দেবেন? এটা কি বলা উচিত? তাহলে তো বিচার ব্যবস্থার প্রতি সরকারের হস্তক্ষেপ হবে। ‘উনি যদি জামিন পান এবং চিকিৎসকরা যদি মনে করেন তার বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করা দরকার, সেটা তারা বলতে পারেন। সে ধরনের কোনো রিপোর্ট পেলে, চিকিৎসকদের পরামর্শ থাকলে জানাতে পারেন। আদালতে জামিন দেয়ার বিষয়ে সরকার বলতে পারে না। এটি আদালতের উপর ছেড়ে দিন।’ সরকার খালেদাকে বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে কোনো সহযোগিতা করবে কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বেগম জিয়ার সঙ্গে আমাদের তো আমাদের কোনো শত্রুতা নেই, তিনি যদি জামিন পান, জামিন পেলে চিকিৎসকরা বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারে রিপোর্ট দেন তখন দেখা যাবে।’ জামিনের বাইরে বিকল্প ব্যবস্থায় খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, এমপি হারুন শুধু জামিনের কথা বলেছেন, নেত্রীকে জানাতে বলেছেন। তিনি তো আন্তরিকভাবেই বলেছেন, বেগম জিয়ারও হয়তো ইচ্ছা থাকতে পারে। বেগম জিয়ার সঙ্গে আলোচনা করেই আমার সঙ্গে আলোচনা করেছেন। ‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি, প্রধানমন্ত্রী আদালতের বিষয় বলেছেন। আদালতের জামিন বিষয়টা মূল। বলেছেন, আদালতে জামিন না হলে কীভাবে দেখব?’ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ নিজেও এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান কাদের। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা জামিন আবেদন করলে পক্ষ-বিপক্ষ আলোচনা হবে। সে অবস্থায় এলে জামিন তারা কেন চান, জামিন চাওয়ার মতো মামলায় সেই সুবিধা আছে কিনা, সেটি দেখতে হবে। এটা আদালতের বিষয়। যিনি বিচারপতির আসনে বসবেন, তিনি সিদ্ধান্ত দেবেন। সরকারের এখানে কিছু করার নেই। খালেদা জিয়ার সঙ্গে আমাদের কোনো শত্রুতা নেই।’
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১